বিত্তের সাথে চিত্তের মেলবন্ধন ঘটানো গেলে ভালো কিছু সৃষ্টি হবেই: সিএমপি কমিশনার

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেছেন, বিত্তের সাথে চিত্তের মেলবন্ধন ঘটানো গেলে ভালো কিছু সৃষ্টি হবেই। তবে নতুন কিছু অর্জন মানেই পুরনোকে বর্জন নয়। ক্ষেত্র বিশেষে পুরনো কিছু বিষয় ঐতিহ্যের স্মারকেও পরিণত হয়।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে ফিরিঙ্গিবাজারস্থ উপলব্ধি কার্যালয়ে রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং ইস্ট-এর ৮৮১তম পাক্ষিক সভায় তিনি প্রধান অতিথির তিনি বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সৃজনশীল ও মননশীল কর্মযজ্ঞে সবসময় নিজের পক্ষপাত উল্লেখ করে সৃষ্টিশীলতাকে জীবনের অনুসঙ্গ করার আহ্বান জানিয়ে সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রোটারী ক্লাব বিশ্বে সমাদৃত আর চট্টগ্রাম ইস্ট-এর গতিময়তায় আমরা আশাবাদী হই।

উপলব্ধি ফাউন্ডেশনের সাথে নিজের আত্মার সম্পর্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিয়াম সাধনার পাশাপাশি মানুষ হবার সাধনায় ব্রতী হতে পারলে সমাজ সুন্দর হবে। সংস্কৃতি লাভবান হবে।

পিতৃমাতৃহীন তথা ছিন্নমূলদের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য যারা কাজ করছেন তাদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের উৎসব সবার। ধনী, দরিদ্র, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান তথা সবার। বাঙালির বৃহত্তর ও প্রাচীন সার্বজনীন উৎসব। ধর্মের রঙে নয়, অসাম্প্রদায়িক চেতনার রঙে রাঙাতে হবে নববর্ষকে। রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং ইস্টকে এ ধরণের আয়োজনের জন্য হৃদ্ধিক অভিনন্দন জানান তিনি।

ক্লাব প্রেসিডেন্ট একেএম সাইদুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পুষ্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপির সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সাংবাদিক আলমগীর সবুজ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খায়রুল আলম সুজন, উপলব্ধির সিইও ইজাবুর রহমান, সেন্টার ম্যানেজার শেলী রক্ষিত, ক্লাব মেম্বার রোটারিয়ান পিপি এ.আর খান, রোটারিয়ান পিপি কর্নেল (অব.) এবিএম জয়নুর রশীদ, রোটারিয়ান পিপি কামরুল ইসলাম, রোটারিয়ান পিপি রাকিবুল ইসলাম, প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট নাসিমা আখতার, রোটারিয়ান পিপি জয় দেব দাশ, রোটারিয়ান লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি, রোটারিয়ান মিজানুর রহমান, রোটারিয়ান নিলুফার আজাদ, রোটারেক্ট তাহমিদ ও তামজিদ প্রমুখ।

ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান রাকিবুল ইসলাম ও হাসিনা আক্তার লিপি দম্পতির সৌজন্যে এ আয়োজনে নতুন সদস্য ব্যবসায়ী খায়রুল আলম সুজনকে রোটারী পিন পরিয়ে দেন পুলিশ কমিশনার। তিনি উপলব্ধিকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন এবং ক্লাবের পক্ষ থেকে দুই জনের ভরণ-পোষণ বাবদ এক বৎসরের অনুদান ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।