ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাববেন না, জনপ্রতিনিধি জমিদার না—অর্থ প্রতিমন্ত্রী

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেছেন, ১৯৮১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক দুঃখ কস্ট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। অনেক ঝড়ঝাপটার মধ্যদিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী অসাধারণ নেতৃত্ব আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। তাঁর কাছে তৃণমূল কর্মীদের কদর বেশি। তৃণমূল কর্মীদের জননেত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। কারণ তৃণমূলের কর্মীরাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
একটি কথা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেন। তা হলো-জনগণের প্রতিনিধি জমিদার না, শাসকও না। জনগণের প্রতিনিধির কাজ জনগণের সেবা করা।

তিনি আরও বলেন, আমি ১০ বছর এমপি ছিলাম, তখন আনোয়ারায় রাস্তা করলে রাস্তা কেটে দিতো। নামফলক ভেঙে দিতো। এতে মানুষের অনেক কষ্ট হতো। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা শিখিয়েছেন উন্নয়নের রাজনীতি। খোঁজ আপনারাই নিবেন প্রতিটি কাজের। ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা। পাহারা দেবেন, ফাঁকিবাজি করতে দিবেন না। সরকারের অর্থ আপনাদেরও অর্থ। নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। ভদ্রতাকে কেউ দুর্বলতা ভাববেন না।’

অর্থ প্রতিমন্ত্রী শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বঙ্গবন্ধু টানেল চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘নিজেদের মধ্যে বিভেদ থাকলে দুষ্ট লোকেরা সুযোগ পাবে, ঐক্য থাকার চেষ্টা করবেন সবসময়। যাতে করে দুষ্ট লোকেরা সুযোগ না পায়। যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো না, জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে সবসময় ছিলেন আমার প্রয়াত পিতা আতাউর রহমান খান কায়সার। ৭৫ পরবর্তী অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমার পিতা কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি, আমিও দেশ ছেড়ে পালাব না।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন বাবলু, ওয়াহেদুল আলম এবং আজিজুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহজাদা মহিউদ্দিন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক খোরশেদুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ ইদ্রিছ, শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আলী, মঈন উদ্দিন খান পিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন সুজন, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেহেনা ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বশর, এম. নজরুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন, তাঁতী লীগের সহ সভাপতি আজিজুল হক আজিজ, যুবলীগ নেতা মো. মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, মাহাতাব হোসেন জুয়েল প্রমুখ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।