মঞ্জু হত্যা মামলার আরও দুই আসামি র‌্যাবের জালে

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বালু ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৫) মঞ্জু হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামী ওবায়দুল কাদের প্রকাশ ওবায়দুল্লা সুমনকে (৩৮) এবং আল আমিন সাগরকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সুমন রাঙ্গুনিয়ার মুরাদনগরের পাঠান পাড়ার নবীর হোসেনের ছেলে, সাগর রমজান আলীর ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-০৭এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার। তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মঞ্জু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আল আমিন সাগরকে হাটহাজারী থানার আব্বাসিয়ার পুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে দ্বিতীয় আসামি সুমনকে আমরা পাঁচলাইশ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছি।

তিনি আরও বলেন, আটককৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, সে বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয়পলাতক আসামি। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে তারা আত্মগোপনে ছিল।
তাদেরকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা নূরুল আবছার। এর আগে প্রধান আসামী মঈনুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

প্রসঙ্গত: আসামীদের সঙ্গে ভিকটিমের বালু মহল নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের জেরে আসামিগণ ইতোপূর্বে একাধিকবার ভিকটিমকে মারধর করাসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। গত ৮ অক্টোবর বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টায় মঞ্জুরুল ইসলাম তার শান্তিনিকেতন বালুর মহলে অবস্থান কালে, আসামিগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত বালু মহলে আসে। অস্ত্রসজ্জিত আসামিদের দেখে ভিকটিম প্রাণ ভয়ে দৌড়ে পালানোর সময় আসামিরা ভিকটিমকে ধাওয়া করে বালুর মাঠেই এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। কোপানোর একপর্যায়ে আসামিদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভিকটিম মঞ্জুরুল ইসলাম এর পায়ের উপরের অংশে ও নিম্নাংশে একাধিক গুলি করে গুরুতর জখম করে এবং ভিকটিমের সাথে থাকা মোঃ সেকান্দরকে (৩৮) মারধর করে জখম করে। এসময় তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে মঞ্জুুরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।