মাদক-সন্ত্রাস, পরিবারতন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে নোঙ্গর প্রতীকে ভোট দিন—এয়াকুব আলী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের পটিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী এম এয়াকুব আলী বলেছেন, পশ্চিম পটিয়া হচ্ছে ভোট ব্যাংক। নির্বাচন আসলে সব প্রার্থী নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের ভোটগুলো কৌশলে নিয়ে যায়। ভোটের পর আর পশ্চিম পটিয়ার মানুষকে ছিনে না। যুগ যুগ ধরে আমরা পশ্চিম পটিয়ার মানুষ অবহেলিত। এবার সময় এসেছে আমাদের পশ্চিম পটিয়ার। নোঙ্গর প্রতীকে বিজয়ী করে অবহেলিত পশ্চিম পটিয়ার মানুষের পক্ষে জাতীয় সংসদে গিয়ে কথা বলার সুযোগ দিন।

তিনি বলেন, আমি গত ১৮ বছর আগ থেকেই একটা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে মাঠে নেমেছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। সরকার বলছে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। বিএনএফ বাংলাদেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু ধারা ফিরিয়ে আনতে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এখনো পটিয়ার মানুষের জন্য পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করে আসছি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, কিশোর গ্যাং, গুম, খুন, অপহরণমুক্ত পটিয়া গড়তে আমি কাজ করব। যাতে আমার পটিয়ার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। দেশে সব মতের লোক থাকবে। এ বীর পটিয়া আমার নিজ এলাকা। পটিয়াকে নিয়ে আমার অনেক ভাবনা আছে। অনেক সুনাম ও ঐতিহ্য রয়েছে এ পটিয়ার। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি রাজনীতিতে যত মানুষের সাথে কথা বলা যায়, অন্য পেশায় তা করা সম্ভব নয়। উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু পটিয়ায় টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে না। উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে, হালুয়া রুটির ভাগাভাগি হয়েছে। পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে পটিয়ার মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে গত ১৫ বছর ধরে। এবার সময় এসেছে পটিয়ার মানুষকে পরিবারতন্ত্রের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দেয়ার।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জিরি ইউনিয়নের ফকিরা মসজিদ বাজার ও কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা চৌমুহনী এলাকায় পৃথক দুটি নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনা সভায় শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী এসব কথা বলেন।

এয়াকুব আলী বলেন, আমি পটিয়াবাসীর সাথে সুখ দুঃখের সারথি হওয়ার জন্য নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। পটিয়ার দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। সাধারণ মানুষ চায় পরিবর্তন। আমি সেই পরিবর্তনের স্বপক্ষে আগামী নির্বাচনে আমার নোঙ্গর প্রতিকে ভোট চাই। আমি এ নির্বাচনে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত লড়ে যাব। অনেকেই বলছেন পটিয়ায় দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠে থাকতে পারব কি না। আমি এ ব্যাপারে আপনাদের আশ্বস্ত করছি আমি নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাবো না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মনসুর আলম, আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, হাজী ছৈয়দ, ডা. জাহাঙ্গীর, মো. ইদ্রিস সওদাগর, মোহাম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর সওদাগর, মাওলানা সামশুল আলম, হাফেজ নুরুল্লাহ, মো. আলমগীর, আবুল কালাম সহ আরো অনেকেই।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।