মিরসরাইয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, অভিযোগ করায় হামলা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করায় মনির আহম্মদ নামে একজনের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করছেন ভুক্তভোগী।

মামলার আসামিরা হলেন— উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ধুম ইউনিয়নের মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন শিমুল (৪০), আমির হোসেনের ছেলে সাইফউদ্দিন (৪০), কবির আহম্মদের ছেলে ইলিয়াছ হোসেন (৫০), মৃত ফকির আহম্মদের ছেলে সিরাজ উদ্দিন (৪৫), মৃত শেখ আহম্মদের ছেলে হুদা মিয়া (৫৬)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে মনির আহম্মদ উল্লেখ করেন, ফেনী নদী থেকে প্রায় ১০০ ফুট গভীর করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নদীর দক্ষিণ পাড়ে আমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে বালি ভরাট করতে থাকে আসামিরা। তাদের কর্মকান্ডে বাঁধা প্রদান করলে তারা আমাকে ও আমার ছেলে সন্তানদের প্রাণে মারার হুমকি ধমকি দেয়। তাই আমি সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত মামলা করি। তারা আদালতের কাছে অঙ্গীকারের শর্ত মোতাবেক ক্ষমা চায়।

এর পরেও আসামি আনোয়ার হোসেন শিমুল আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বালু উত্তোলন কাজ অব্যাহত রাখে এবং বালু পুনরায় আমার জায়গার উপর রাখে। পরবর্তীতে আমি বাধ্য হয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আসামিদের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেয়ে তাদের বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারটি জব্দ করেন এবং বালু নিষিদ্ধ করিয়া দেন।

তিনি বলেন, ওই ঘটনার জের ধরে আসামিরা গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় উপজেলার শান্তিরহাট বাজারে আমাকে, আমার ছেলে ও ভাতিজাকে সিএনজি হতে বলপূর্বক টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এসময় তারা আমার সাথে থাকা নগদ টাকাসহ কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস নিয়ে যায়। এছাড়া আমাকে অস্ত্রের মুখে ৬টি অলিখিত নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করায়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন , ওই ঘটনায় রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে আনোয়ার হোসেন ‍শিমুলের নেতৃত্বে আমার মৎস্য প্রকল্পের দারোয়ান এবং আমার ছেলে মৎস্য প্রকল্প থেকে বাড়ি ফেরার সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর হোসেন মামুন বলেন, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।