রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা প্রধানের ভাই, ধরলো এপিবিএন

আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকসহ কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের হাতে (এপিবিএন) আটক হয়েছেন শাহ আলী নামে এক ব্যক্তি। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীর ভাই।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক। তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ছিল আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীর ভাই শাহ আলী ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। রোববার (১৬ জানুয়ারি) ভোরে দউখিয়ার ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, শাহ আলী কখন, কীভাবে ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন তা জানার চেষ্টা আমরা করছি। তার আরসার সাথে তার কোন সম্পর্ক আছে কিনা সেটাও আমরা খতিয়ে দেখছি।

উল্লেখ্য,মিয়ানমার জান্তা সরকারের নির্যাতনের মুখে নিজের ভূখণ্ড ছেড়ে পালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য হাজার হাজার হেক্টর বন উজাড় করে গড়ে তোলা হয়েছে ক্যাম্প। রোহিঙ্গাদের জন্য গড়া কুতুপালং ক্যাম্পে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রাশফায়ারে নিহত হন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নেতা মুহিবুল্লাহ।

মুহিবুল্লাহ হত্যায় আরসার হাত আছে বলে রোহিঙ্গা নেতাদের সন্দেহ। যদিও মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে আরসা দায় অস্বীকার করেছে। নিহত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহর আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্টদের এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তবে এপিবিএন বিভিন্ন অপরাধে দুই শতাধিক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে আরসা নামধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের ১১৪ সন্ত্রাসী রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের উত্তর রাখাইন রাজ্য জুড়ে আরসা সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে বলে মিয়ানমার সরকারের দাবী। বিশেষত পুলিশের ওপর আরসার হামলার অভিযোগ তুলে তার প্রেক্ষিতে সামরিক বাহিনী (তাতমাদো) রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংস জাতিগত নির্মূল অভিযান পরিচালনা করে। সন্ত্রাস দমনের অজুহাতে রাখাইন রাজ্য অশান্ত হয়ে উঠে, আর সেখান থেকে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে নির্বাসিত হতে বাধ্য হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।