লতিফ হত্যায় প্রধান সন্দেহভাজন মিজান আটক

ঘর থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে চকরিয়ায় ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফকে (৩৬) হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মিজানুর রহমান আটক হয়েছেন ইয়াবা নিয়ে। মিজান ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৃত জলিল আকনের ছেলে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জুয়েল ইসলাম।

তিনি বলেন, মিজানুর রহমানের মুঠোফোন থেকে গত ৩ জানুয়ারি রাতে লতিফকে হত্যার করার আগে দুই বার ফোন করা হয়েছিল। সর্বশেষ নিহত লতিফ মিজানের বিকাশে ৩০ হাজার টাকাও পাঠিয়েছিলেন। এরপর থেকে মিজানের বিকাশ ও ব্যবহারের মোবাইল নম্বর বন্ধ ছিল।

তিনি আরও জানান, মিজান মোবাইল সিম বন্ধের পাশাপাশি যে মোবাইল সেট থেকে লতিফকে ফোন করেছিলেন সেই মোবাইল সেটও আর ব্যবহার করেননি। তাকে পটিয়া থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম ইয়াবাসহ আটক করে। আমরা লতিফ হত্যায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করছি। মিজান চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে ৯টা ৫৬ মিনিটে প্রথম মিজান ও লতিফের কথা হয়। তখন লতিফ রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। এরপর রাত ১০টা ১৬ মিনিটে আবার কথা হয় মিজান ও লতিফের। তারপর রাত ১০টা ২৫ মিনিটে মিজানের বিকাশ নাম্বারে ৩০ হাজার টাকা পাঠান লতিফ।

লতিফ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে সন্দেহভাজন নয়ন (৩৫) নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।

নিহত মো. লতিফ উল্লাহ (৩৬) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের সুফি মিয়াজী পাড়ার মৃত মোহাম্মদ ইলিয়াছ সওদাগরের ছেলে। লতিফ ব্যবসায়িক সূত্রে দীর্ঘদিন কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে বসবাস করে আসছিলেন। ওখানে দোকান ঘরভাড়া নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির এজেন্টের পাশাপাশি বিকাশের ব্যবসাও করতেন।

৩ জানুয়ারি রাতে চকরিয়া বাজারে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেন তাকে। তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চকরিয়াতে বিশাল মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।