সড়কে ছয় ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় পিকআপ চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় পিকআপের চাপায় ছয় ভাই নিহতের ঘটনাটি আদালতে হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় পিকআপ চালক সাইদুল ইসলামকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার মাত্র এক বছর চার মাসের মাথায় রোববার (১১ জুন) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈল এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট এলাকায় বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৯ ভাই-বোন শ্মশানে পূজা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পিকআপভ্যানের চাপায় পাঁচ ভাই নিহত হন। পরে আহত আরেক ভাই রক্তিম শীল ২২ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতদের ভাই পল্লব সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করেন। এই মামলার তদন্ত ভার প্রথমে হাইওয়ে পুলিশকে ও পরে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার চারদিন পর ১২ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরে অভিযান চালিয়ে পিকআপভ্যান চালক সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করেছিল র‍্যাব।

অ্যাডভোকেট ফরিদ আরও বলেন, মামলাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর হওয়ায় দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। এতে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সার্বিক প্রক্রিয়া শেষ করেরায় ঘোষণা করা হলো। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলো।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৩০ জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন সুরেশ চন্দ্র সুশীল। বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে এসে একটি পিকআপভ্যান চাপায় ৯ ভাইবোনের মধ্যে ৫ ভাইয়ের মৃত্যু হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে মালুমঘাট চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মৃত সুশীলের পাঁচ ছেলে অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫), চম্পক সুশীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল (২৯) নিহত হয়। আহত হয় আরও তিন ভাইবোন। তাদের মধ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি রক্তিম শীলও চলে যান না ফেরার দেশে।

এই ঘটনায় পরিবারটির জন্য ৩৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।