সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় চবিসাসের তিন দিনের আল্টিমেটাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু এ সময়সীমা বেঁধে দেন। একইসঙ্গে মুক্ত গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের কতিপয় অনুসারী চবিসাসের সদস্য ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে হেনস্তা করেন। এসময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করতে চাপ প্রয়োগের পাশাপাশি তার মোবাইল এবং ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়া ঘটনাস্থলে থাকা অন্য সাংবাদিকদের সঙ্গেও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন তারা।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়নি। যা বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ করা ছাড়া কিছুই নয়। তাই আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার পাশাপাশি পূর্ববর্তী সাংবাদিক হেনস্তার তদন্তাধীন ঘটনাগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় চবি সাংবাদিক সমিতি সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় পরবর্তীতে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় চারুকলা ইন্সটিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধর করেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স ও বাংলার মুখের নেতাকর্মীরা। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তার এবং আরটিভির ফটো সাংবাদিক এমরাউল কায়েস মিঠু।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।