সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় ১৩ জন গুলিবিদ্ধ

চমেকে ভর্তি ১০ জন

সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে । এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) খাগরিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জোড়ারকুলে সকাল ১১টার দিকে এই গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাগরিয়ার ৮ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগে গিয়েছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন। উক্ত ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আকতার হোসেনের বাড়ি। তার বাড়ির কাছাকাছি গেলেই গোলাগুলির শব্দ শুনে গণসংযোগে আসা প্রার্থীসহ অন্যান্যরা ছুটোছুটি শুরু করেন। এলোপাথাড়ি গুলিতে নারী-শিশুসহ গণসংযোগে আসা অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা।

দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক রুমি দাশ জানান, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিশু, নারী, পুরুষসহ ১৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরে গুলি লেগেছে। অপর একজনের মাথা ফেটে গেছে৷ আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেকে) হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত জেলা পুলিশ সদস্যরা জানান, বিকেলে ৪টা পর্যন্ত ১০ জনকে চমেকে ভর্তি করানো হয়েছে।

এই হামলার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আকতার হোসনকে দায়ী করে বলেন, নৌকা প্রতীকের আকতার হোসেনের ইন্ধনে আমার গণসংযোগে পরিকল্পিত হামলা হয়েছে। গতকালও তারা আমার নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার ছিড়ে দিয়েছে। নির্বাচন থেকে সরে যেতে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তারই প্রেক্ষিতে আজ আমার গণসংযোগ উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়েছে। এতে আমার ১০-১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে আকতার হোসেন বলেন, ওই প্রার্থীর বাড়ি ৫নং ওয়ার্ডে। তাছাড়া গণসংযোগের সময় দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তিনি সকালে দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা করে। এতে আমার এক ফুফুসহ এলাকার অনেকে আহত হয়েছেন।

বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় মামলা করেনি জানিয়ে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল জলিল বলেন, নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। তবে কোন পক্ষ এখনো মামলা করেনি। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রসঙ্গত, স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং খাগরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগেরও সাবেক সভাপতি। দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।