সেবা প্রদানে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোন স্থান নেই—জেলা প্রশাসক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, সেবা প্রদান প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের কোন স্থান নেই। তাদেরকে সমূলে উৎপাটন করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদেরকে সরাসরি সেবা প্রদান করা হবে। তাই সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের চেক মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে। কোন দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীর নিকট না গিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করে যে কেউ নিজের ক্ষতিপূরণের টাকা নিজে উত্তোলন করতে পারবেন।

বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে নগরের কুলগাঁও মৌজায় ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্পের অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডোবা, নাল ও চালা শ্রেণির জমির ক্ষতিপূরণ সহ অবকাঠামো ও ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।

জেলা প্রশাসক বলেন, সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মাঠ পর্যায়ে চেক বিতরণ করা হচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণ তাদের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিপূরণের চেক নিজের ঘরের পাশে হাতে পেয়ে সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। দালালমুক্ত ও হয়রানিমুক্ত সেবা পেয়ে তারা অত্যন্ত খুশি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরাসরি ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করলে তারাও দ্রুততম সময়ে ক্ষতিপূরণ পাবেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ে কুলগাঁও মৌজায় ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিগ্রহণ করা ৭ দশমিক ৯ হাজার ৭০০ একর ভূমির ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এলএ চেক বিতরণ করা হয়েছে।

এদিন ৩৭ জনকে প্রায় ১৪ কোটি টাকার চেক বিতরণ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। এরমধ্যে উপস্থিত ২৮ জনের মাঝে প্রায় ৯ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়। বাকিরা পরবর্তীতে ভূমি অধিগ্রহণ শাখা হতে ক্ষতিপূরণের চেক সংগ্রহ করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি সরাসরি ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করে এবং কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া দ্রুত ক্ষতিপূরণের চেক হাতে পেয়েছি।

চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) মো. আবু রায়হান দোলন, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।