‘স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে দরকার স্মার্ট এডুকেশন’

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) যৌথ আয়োজনে আউটকাম বেইসড কারিকুলাম বাস্তবায়ন বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। এতে গেস্ট অব অনার ছিলেন চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের ডিন ও উপাচার্য (ইনচার্জ) অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম।

চুয়েটের আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসির স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স ডিভিশনের পরিচালক ড. দূর্গা রাণী সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, উন্নত বিশ্বে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বতন্ত্র টিচিং অ্যান্ড লার্নিং সেন্টার রয়েছে। পরতিবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা সাথে নিজেদের সমানতালে এগিয়ে নিতে ট্রেনিংয়ের বিকল্প নেই। স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে স্মার্ট এডুকেশন দরকার। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্মার্ট শিক্ষকের প্রয়োজন। তবেই দেশ উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রির সাথে আমাদের একাডেমিয়ার সংযোগ এখনও আশানুরূপ নয়। মাসে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের এক্সপার্ট লোকেদের নিয়ে ক্যারিয়ার সেমিনার করা উচিত। গ্র্যাজুয়েটরা তখন ইন্ডাস্ট্রির সাথে সংশ্লিষ্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে সচেতন হবে। তাহলেই দুই পক্ষের মাঝে সেতুবন্ধন রচিত হবে।

তিনি বলেন, ইউজিসি ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মজবুত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটিতে ইন্ডাস্ট্রির এবং অ্যালামনাই প্রতিনিধি রাখার বিধান প্রচলন করেছে। এতে করে দেশে শিক্ষার যথাযথ প্রয়োগ এবং সুফল পাওয়া যাবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।