সয়াবিন নামা— ২ মাসে খালাস ১ লাখ ৬৯ হাজার টন, বন্দরে আছে ৩৬ হাজার টন

তবুও সংকটের অজুহাতে বাড়ছে দাম

সয়াবিন তেলের সংকটের অজুহাতে দাম বাড়ছেই। কিন্তু বন্দর সূত্রে জানা গেছে গত দুই মাসে এক লাখ ৬৯ হাজার টন সয়াবিন তেল খালাস করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৬ হাজার টন সয়াবিন নিয়ে বন্দরে ভিড়েছে তিনটি জাহাজ। চলতি সপ্তাহে আরও ভিড়বে।

সুমাত্রা পাম জাহাজ ১১ হাজার ৯৯৯ টন, সান জিনে ১২ হাজার টন ও পিভিটি নেপচুনে ১২ হাজার টন ভোজ্যতেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায়। এক সপ্তাহের মধ্যে আরও কয়েকটি জাহাজভোজ্য তেল নিয়ে ভিড়তে পারে বলে চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেছেন বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।

বাংলাদেশের সয়াবিন তেলের চাহিদার সিংহভাগই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ সয়াবিন তেল আমদানিকারক দেশ বাংলাদেশ। সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল দেশে সয়াবিন তেল আমদানি করে।

আর সয়াবিন বীজ মাড়াই করে সয়াবিন উৎপাদন করে প্রধানত দুটি প্রতিষ্ঠান—সিটি ও মেঘনা গ্রুপ।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল বাজারজাত হয়েছে গত দুই মাসে এক লাখ ৬৯ হাজার টন। ট্যাংক টার্মিনালে আগের মজুত থাকায় আমদানির চেয়ে বেশি পরিমাণ তেল বাজারজাতের জন্য খালাস করতে পেরেছে কোম্পানিগুলো।

খাতুনগঞ্জের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘তেলের কোনো সংকট নেই। সয়াবিনের সরবরাহ পর্যাপ্ত আছে। চাকতাই-খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন প্রায় ২০০ ট্রাক তেল (প্রতি ট্রাকে ৬ হাজার ১২০ লিটার) বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ ট্রাক সয়াবনি এবং ১৫০ ট্রাক পামঅয়েল ও পাম সুপার।

এদিকে তেলে দামে লাগাম লাগাতে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে উপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া বাজারমূল্য অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য ১৬৮ টাকা এবং বোতলজাত ৫ লিটারের দাম ৭৯৫ টাকা। এছাড়া খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ১৪৩ টাকা এবং খোলা পাম অয়েল লিটারপ্রতি ১৩৩ টাকা।

এমএফ/এফএম

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।