হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ১ যুগ পর র‌্যাবের জালে

জমি সংক্রান্ত বিরোধে খাগড়াছড়ির রামগড়ে নুরুল হক প্রকাশ হকি কোম্পানীকে (৫৫) খুন করে আত্মগোপনে ছিল একই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমানের ছেলে রাসেল। বিচারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাসেলকে ফেনী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (১২ জুন) বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার। তিনি বলেন, খাগড়াছড়ির রামগড়ের লালছড়ির বাসিন্দা নুরুল হক খুন হন জমির সংক্রান্ত বিরোধে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য গ্রেপ্তারকৃত রাসেল, তার পিতা মিজানুর রহমানসহ ৭ জনকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। রাসেল শুরু থেকেই পলাতক ছিল। আমরা তাকে ফেনীর পরশুরাম থেকে গ্রেপ্তার করে রামগড় থানায় সোপর্দ করেছি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান ও তার ছেলে আব্দুল মোতালেব, রেজাউল করিম, শাহ আলম, মোঃ হারুন, মোঃ রাসেল ও নুরুল আবছারা মিলে ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নুরুল হককে তার বাড়ি থেকে খাগড়াবিল বাজারে যাওয়ার পথে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র, লোহার রড, রামদা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পিঠ, কপাল ও হাঁটুর নিচে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত নুরুল হককে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত আনুমানিক সোয়া ৯টার দিকে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করেন। অমানবিক, পাশবিক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সে সময় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে মোঃ নুরনবী বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ নভেম্বর ২০১৪ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। ঘটনার পর থেকে মামলার অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ রাসেল আত্মগোপনে চলে যায়। আসামি মোঃ রাসেল দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আদালত পুলিশের তদন্ত এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামির অনুপস্থিতিতে ২৯ মে ২০২৩ ভিকটিম নুরুল হক প্রকাশ হকি কোম্পানীকে হত্যার দায়ে আসামী মোঃ রাসেলসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।