‍হুইপ সামশুর লোকদের ঝাড়ু নিয়ে ধাওয়া দিলো মহিলারা

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ঈগল মার্কা স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপির সমর্থকদের ঝাড়ু নিয়ে ধাওয়া দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ নারীরা। পরে নারীদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় পুরুষরা।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের অলিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীদের দাবী—বহিরাগত লোক এনে হুইপ সামশুর গণসংযোগ করা নিয়ে মূলত এ উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় পটিয়া মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদা বেগমকে কটূক্তি করে বক্তব্য দেওয়ায় ঝাড়ু নিয়ে ঈগলের সমর্থকদের ধাওয়া করে নৌকা সমর্থকরা। একপর্যায়ে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী হুইপ সামশুর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এসময় ঘটনাস্থলের আধাকিলোমিটার দূরে একটি নির্বাচনী অফিস তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি নিজেও।

মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদা আক্তার জানান, এমনিতেই আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিগত ১৫ বছর হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর অবহেলা, মামলা-হামলা ও বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারীদের অতিমাত্রায় মূল্যায়নের প্রকৃত নেতাকর্মীরা এমপির ওপর ক্ষুব্ধ। আজ ঈগল প্রতীকের লোকজন আমাকে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতীক নৌকাকে কটূক্তি করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার কারণে এলাকার শতশত নারী পুরুষ ঝাড়ু নিয়ে তাড়া করে। এসময় তাড়া খেয়ে ঈগলের লোকজন পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ওসি মো. সোলাইমান জানান, রোববার দুপুরে কচুয়াই ইউনিয়নের অলিরহাট নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন ও গণসংযোগের কথা ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর। এর মধ্যে এলাকার কিছু নারী-পুরুষ উত্তেজিত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে হুইপ সামশু বলেন, বুধবার বিকেলে আমি পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নে গণ সংযোগে যাই। গণসংযোগ শেষে আমাদের ইউনিয়নের নেতা নুরুল হুদা খানের বাড়িতে আমরা খেতে গেলে বাইরে অপেক্ষামান গণসংযোগে আসা কিছু সাধারণ লোকজন ও কর্মি সমর্থকদের ওপর হামলা করে জনাব মোতাহেরের মিছিল নিয়ে আসা সন্ত্রাসীরা। তারা আমার প্রচারণার ৬-৭টি গাড়ির টায়ার কেটে দেয়। প্রকাশ্য দিবালোকে রাম দা, কিরিচ ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। একজন ইউপি চেয়ারম্যান এ হামলায় নেতৃত্ব দেন। আমরা এইসকল ঘটনা নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং একটি ঘটনার ইতিমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।