১ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা দিলেন চসিক মেয়র রেজাউল

এক হাজার ৮৮৭ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ২০২২-২৩ সালের এক হাজার ১৭৬ কোটি ২৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট পাশ হয় চসিকের বিশেষ সাধারণ সভায়। এ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

বুধবার (২১ জুন) আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবনের কে. বি. আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল ।
বাজেট সভায় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, অর্থ ও সংস্থাপন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ চসিকের বিভাগ ও শাখা প্রধানবৃন্দ।

সভায় চট্টগ্রামের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের বিষয়ে মেয়র জানান, প্রকল্পটির আওতায় ৭৪টি উপ-প্রকল্পে প্রায় ৪৩০ কোটি টাকার অধিক দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে ৩৯টি দরপত্রের মূল্যায়ন চলমান। প্রকল্পটির অধীনে নিয়োজিত কনসালট্যান্টের মাধ্যমে কাজগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

চসিকের কার্যক্রমকে স্মার্ট করতে কাজ চলমান জানিয়ে মেয়র বলেন, ডিজিটাল নথি (ডি-নথি) ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)এর সহযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্গানোগ্রাম অনুসারে নথি ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অ্যাকাউন্ট (ডি-নথি অ্যাকাউন্ট) খোলা হয়েছে। সচিবালয় বিভাগের অধিকাংশ ফাইল ডি-নথির মাধ্যমে নিষ্পত্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডি-নথি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালাও চলমান রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল বিভাগের নথি ডি-নথি সিস্টেমের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও নগরে ৪১টি ওয়ার্ড কার্যালয় হতে প্রদত্ত সকল ধরনের সনদপত্র বা প্রত্যয়নপত্র অনলাইনের মাধ্যমে প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

১ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা দিলেন চসিক মেয়র রেজাউল 1

মেয়র বলেন, যান্ত্রিক শাখার সকল ধরনের কার্যক্রম সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনার লক্ষ্যে ট্রান্সপোর্ট পুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রণয়ন করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিদ্যমান গাড়িসমূহের সকল ধরনের তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে প্রণীত স্টোর ম্যানেজমেন্ট ও ফুয়েল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে এ সফটওয়্যারের সাথে ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার উন্নয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

গৃহকর প্রসঙ্গে মেয়র বলেনন, করদাতাদের নানাবিধ ও অর্থনৈতিক সমস্যা বিবেচনায় ধার্যকৃত মূল্যায়নের ওপর আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য ৬টি রিভিউ বোর্ড গঠন করা হয়। উক্ত রিভিউ বোর্ডে আমি নিজে উপস্থিত হয়ে গণ-শুনানির মাধ্যমে করদাতাদের চাহিদামতো সহনীয় পর্যায়ে কর মূল্যায়ন করায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে করদাতারা আগ্রহ নিয়ে আপিল শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন এবং নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করছেন। এতে নগরবাসীর গৃহকর নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল তা প্রশমিত হয়েছে।

বাজেট সভার পর চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ২৯তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলাবদ্ধতা আলোচনায় প্রাধান্য পায়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।