২১ বছর পর বারশতের ওয়াহেদপাড়া সড়ক সংস্কার, স্বস্তিতে এলাকাবাসী

চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের ওয়াহেদপাড়া সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে দীর্ঘ একুশ বছর পর। সড়কটি সংস্কার হলে লাঘব হবে ২ ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের দূর্ভোগ। ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির প্রচেষ্টায় ১১’শ মিটার এ সড়কটি সংস্কার করছে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। যার ব্যায় ধরা হয়েছে ৭১ লাখ টাকা।
আনোয়ারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, বারশত ওয়াহেদ পাড়া সড়কটি দীর্ঘ ২১ বছর কোন সংস্কার হয়নি। যার কারণে সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি এলজিআরডিএ’র হলেও জনসাধারণের দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে এ সড়কটি দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ৭১ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। ৭’শ মিটার সড়কটি বর্ধিত করে ১১’শ মিটারে ইট বসানো হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও হযরত আবু বকর ছিদ্দিক জামে মসজিদের পরিচালক মো. বাবুল হক বলেন, এ সড়কটি দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার হয়নি। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের ভূমি মন্ত্রীর প্রচেষ্ঠায় এ সড়ক সংস্কার হচ্ছে। সড়কটি সংস্কারে তিন গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

ওয়াহেদ পাড়া এলাকার বাসিন্দা ৬০ বছরের বৃদ্ধ মো.আবদুল্লাহ বলেন, এ সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে প্রসবকালীন সময়ে এক মহিলাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সন্তান প্রসব হয় তার। তাছাড়া দীর্ঘ ২১ বছর সড়কটি মেরামত না হওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সড়কটি সংস্কার হওয়ায় এখন দুর্ভোগ কমবে।

বারশত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসীর অনুরোধে ভূমিমন্ত্রীর কাছে গিয়ে সংস্কারের আবেদন জানালে তিনি এটি দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দেন। এ সড়কটি এলজিআরডিএ’র হলেও স্থানীয়দের দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়াও সড়কের পুরাতন ইট বিক্রি করে অতিরিক্ত ৪০০ মিটারেও ব্রিক সলিন বসানোর কাজ হচ্ছে।

স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, এ সড়ক দিয়ে রায়পুর ও বারশত দুই ইউনিয়নের লোকজন যাতায়াত করে। সড়কটি সংস্কারের জন্য একাদিকবার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছিল। অবশেষে মাননীয় ভূমি মন্ত্রীর প্রচেষ্ঠায় সড়কটি নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।