৩০ সেকেন্ডেই জানা যাবে মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সব তথ্য

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড প্রদান শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র যাতে কেউ জাল করতে না পারে, সে জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে মন্ত্রনালয়। নতুন এই ডিজিটাল সনদে ১৪ ধরনের এবং পরিচয়পত্রে ১২ ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই সংশ্লিষ্ট বীব মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় তথ্য জানা যাবে অ্যাপস’এ।

গুগলে গিয়ে ‘ফ্রিডম ফাইটার ভেরিফায়ার’ অ্যাপের মাধ্যমে এই সনদ ও পরিচয়পত্রে ইউনিক নম্বর আপ করলে প্রথমেই ৩০ সেকেন্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও জাতীয় সংগীত শোনা যাবে। এতে আরও রয়েছে থ্রিডি লোগো, দুটি করে কিউআর কোড, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ফুল শাপলার অ্যাম্বুশ করা শ্যাডো, বীর মুক্তিযোদ্ধার পৃথক তথ্যকণিকা, ইস্যুকারী মন্ত্রী ও সচিবের স্বাক্ষর, ওয়াটার মার্ক, জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধুসহ নানা ধরনের নির্ধারিত আল্টামার্ক। যার অনেক কিছু খালি চোখে দেখা যাবে না।

প্রথম ধাপে দেশের ১৭টি জেলায় একযোগে ৪৬ হাজার ৮০৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারকে ডিজিটাল সনদ দেয়া হবে। এ ছাড়া জীবিত ২৪ হাজার ৭৬১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচয়পত্র দেয়া হবে।

বৃহষ্পতিবার (২৮ জুলাই) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সনদ এবং পরিচয়পত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশিত ছিলো। সরকার তাদের এই আশাও পূরন করছে। প্রথম পর্যায়ে ১৭টি জেলায় এ কার্যক্রম শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলার মুক্তিযোদ্ধাদারাও পাবেন। যেসকল বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন, তারা সার্টিফিকেট এবং আইডি কার্ড দুটিই পাবেন। যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে শুধু ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেয়া হবে।

সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, ঢাকা -২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ১৭টি জেলার সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম ধাপে ঢাকা, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, মেহেরপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নড়াইল, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র পাচ্ছেন।