আমাদের সাথে পারবে না, কিন্তু ২০ থেকে ৩০ টা মার্ডার হয়ে যাবে—নদভী

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে কোন ঠাসা হয়ে মারামারিতে নামতে চান সাতকানিয়া—লোহাগাড়া আসনের সাংসদ আবু রেজা নেজামুদ্দিন নদভী। প্রশাসনের স্থানীয় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের তিনি মাঠে নামবেন কিনা জানতে চান।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম খবরের হাতে আসা ভিডিওতে এসব বলতে শোনা যায় বিভিন্ন সময় নানান বিতর্কে জড়ানো নদভীকে। নৌকা প্রতীক পেলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের হাতে গোনা কয়েকজন নেতা ছাড়া বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেবের ঈগল প্রতীকের জন্য কাজ করছেন।

শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সাংসদ নদভীকে বলতে শোনা যায়— (ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন)

এখন কথা হল যে আপনারা সাত্তার সাহেব, শিবলী নোমান, ইউনুস সাহেব আপনারা আমাকে দুইটার মধ্যে একটা কথা বলেন। কালকে থেকে আমরাও মাঠে নেমে যাবো? মারামারিতে। মাঠে নেমে যাব কিনা? আমাদের সাথে পারবে না, কিন্তু ২০ থেকে ৩০ টা মার্ডার হয়ে যাবে। করব? না আপনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন? আপনারা আসতেছেন সামরিক সচিব বলার পরে। সামরিক সচিবের টেলিফোন বুঝেন তো? আমাকে বিভাগীয় কমিশনার সাহেব, ডিসি সাহেব বলেছেন, ডিআইজি মিনা সাহেব বলেছেন, সামরিক সচিব কড়া অর্ডার দিয়েছেন।
এখন আপনারা কি করবেন না করবেন? এই যে এখন তালিকা দিয়েছি, এই তালিকা পুরো গ্রেপ্তার না করলে তাহলে কালকে আমি…
এতটুকুতেই শেষ হয়ে যায় ৫৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিও।

এবিষয়ে কথা বলতে সাংসদ আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, সাংসদ নদভীর গানম্যান মামুনের বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্রের প্রভাব দেখানোর অভিযোগ উঠলে মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষে স্ত্রীসহ নিজের লোকজন আহত হওয়ার দাবী করে সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন নদভী।
অপর দিকে ঈগল প্রতীকের ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব।

গত ১৩ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে দোয়া আনার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার চিত্র। একে একে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার আওয়ামী লীগের নেতারা ঈগলের জন্য কাজ শুরু করেন। পৌরমেয়র জোবায়েরসহ অনেকেই আগ থেকে মোতালেবের পক্ষে কাজ করছিলেন।
ভোটের ঠিক একদিন আগে নদভীর এমন ভিডিও সম্পর্কে অভিমত জানতে চাইলে নিরব রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।