উন্নয়ন বরাদ্দে কোন বৈষম্য হবে না—সাংসদ মোতালেবের প্রতিশ্রুতি

চট্টগ্রাম- ১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল মোতালেব সিআইপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে উন্নয়ন কাজের মধ্য দিয়ে সামনের পথ পাড়ি দিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে উন্নয়ন বরাদ্দে কোন বৈষম্য করিনি। রেসিও অনুযায়ী আমি প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যানকে বরাদ্দ দিয়েছি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। ইউপি চেয়ারম্যান যে দলেরই হোক উন্নয়ন বরাদ্দে কোন বৈষম্য হবে না।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স হলে আয়োজিত উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর লোহাগাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের এ প্রথম আনুষ্ঠানিক কোন সভায় আব্দুল মোতালেব সিআইপি বক্তব্য রাখেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আব্দুল মোতালেব সিআইপি আরও বলেন, কতিপয় খারাপ লোক নির্বাচনের পর এলাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো হচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি এবং আমার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনাকারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এজন্য আমি গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে আমার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এবং সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার প্রকৃত বিষয় সমুহ সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেছি।

তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন ও কৃষি জমির টপসয়েল কাটার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে এবং কৃষি জমি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসনকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিজের লোক হলেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং মাটি খেকোদের কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি। উপজেলার পুটিবিলায় অবৈধভাবে স্থাপিত বালুর চাঁদার গেইট বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি।

উপজেলা সদর বটতলী মোটর স্টেশনে যানজটের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বটতলী মোটর স্টেশনে যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বটতলী শহর উন্নয়ন কমিটিকে নতুন করে সাজিয়ে কাজে লাগাতে হবে। স্টেশনের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। বটতলী মোটর ষ্টেশনকে যানজটমুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ প্রশাসন ও শহর উন্নয়ন কমিটিকে যৌথভাবে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।

উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের শতভাগ সুফল যেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর সভা করে কমিউনিটি ক্লিনিককে জবাবদিহির আওতায় আনারও আহবান জানান তিনি।

লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরু, সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাজমুন লায়েল, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এম ইব্রাহিম কবির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার ও লোহাগাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও সভায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান এবং ইউপি চেয়ারম্যানগণ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।