উপেক্ষিতদের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে ফিরতে চায় চট্টগ্রাম নগর বিএনপি

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম নাজিম উদ্দীনরা চট্টগ্রাম নগর বিএনপিতে বরাবরই উপেক্ষিত বলে সর্বজন স্বীকৃত। অবশেষে তাদের ইমেজে ভর করে নগর বিএনপি রাজনীতির মাঠে সরব হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় তারা তিনজনই উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে গন্ডগোলের পর থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও নগরের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে এই দুই ইউনিটের শীর্ষ নেতাদের দেখা যায়নি। গত ১০ ডিসেম্বর পেশাজীবীদের ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রায় ৪৪ দিন পর ডা. শাহাদাতকে দেখা যায়

মূলত যে পেশাজীবীরা বিএনপিতে উপেক্ষিত থাকে তাদের ওপর ভর করে রাজনীতিতে ফিরতে চেষ্টা করছে বিএনপি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচিতেও পেশাজীবী নেতাদের আধিক্য ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ত‌মিজ উ‌দ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলাদেশের মহান মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন তারা। নিজেদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার মানুষের সর্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতীয় জীবনে একটি বেদনাময় দিন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দুই দিন আগে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। তারা মনে করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেই এই দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।