চট্টগ্রামের রূপে মুগ্ধ ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত—শোনালেন কবিতা

চট্টগ্রামের রূপে মুগ্ধ ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়র (Leo. Tito L. Ausan Jr.) চট্টগ্রামকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) টাইগারপাস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে এক প্রাণবন্ত সৌজন্য সাক্ষাতে কবিতাটি পড়ে শোনান রাষ্ট্রদূত।
‘অড টু চিটাগং’ কবিতাটি শুনে রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান মেয়র রেজাউল৷

এসময় এশিয়ার দুই দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের রূপরেখার নানা দিক নিয়ে আলাপ হয় দু’জনের মাঝে। এসময় মেয়র বলেন, এশিয়ার দুই দেশ বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের মাঝে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে কাজে লাগালে দুটি দেশই আর্থিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে লাভবান হতে পারে। ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে চট্টগ্রাম বৈদেশিক বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ফিলিপাইন এই সোনালী সুযোগকে কাজে লাগাতে চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করলে বেশ লাভবান হবে।

এসময় ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়র বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্যে আমি এতটা মুগ্ধ যে চট্টগ্রাম নিয়ে কবিতা লিখেছি। রিকশা, রিকশার পেইন্টিং এবং সজ্জা বেশ চমৎকার লেগেছে আমার। পাহাড়, নদী, গাছ আর রঙিন ফুলে ভরা চট্টগ্রামের উচিৎ পর্যটন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করা।

“আমি মনে করি পর্যটন খাত চট্টগ্রামকে বিশ্বের একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে পারে। বিশেষ করে যেহেতু চট্টগ্রামে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিয়মিত আসে সেহেতু ব্যবসায়ীক কাজের অবসরে তারা বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটে ঘুরে বেড়াতে পারবে। ফলে চট্টগ্রাম কেবল বাণিজ্যিক নগরীই নয় বরং অবসর বিনোদনের নগরীতেও পরিণত হবে।”

জবাবে মেয়র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ওশান এমিউজম্যান্ট পার্কসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে চসিকের সাফল্য তুলে ধরে ট্যুরিজম খাতের বিকাশেও কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, বাংলাদেশস্থ ফিলিপাইন এম্বেসির থার্ড সেক্রেটারি ও ভাইস কনসাল মারিয়া তানিয়া বি গৌরানো (Maria Tanya B. Gaurano), কমিউনিকেশন অফিসার ও এটাশে ওয়েম্পার জন এল পাসোক (Wemperr John L. Pasok), চট্টগ্রামে ফিলিপাইনের অনারারি কনসাল জেনারেল আবদুল আউয়াল, ফিলিপিন কনস্যুলেট চট্টগ্রামের চীফ অফ স্টাফ শেখ হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন৷

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।