চট্টগ্রামের শতাধিক গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও জেলার আশপাশের শতাধিক গ্রামে শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা হানাফী মাযহাবের নিয়ম অনুসারে ঈদ পালন করে থাকেন।

হানাফি মাজহাব মতে বিশ্বের যে কোন দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় দুইশত বছর আগে থেকে এভাবে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং চন্দ্র মাসের সাথে সম্পৃক্ত সকল অনুশাসনসমুহ পালন করে আসছেন।

দরবার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মির্জাখীল দরবার শরীফের খানকাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাতকানিয়ায় প্রধান জামাতে ইমামতি করেন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান।

মির্জাখীল দরবার শরীফ সূত্র মতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসখামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী নএবং সীতাকুন্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, ফেনী, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ঢাকা, মুহাম্মদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মনোহরদী, মঠখোলা, বেলাব, আব্দুল্লাহনগর, কাপাসিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, মিরশরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ শতাধিক গ্রামের অনুসারীরা রোজা শেষে শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।

এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরাও একইদিন ঈদ উদযাপন করেছেন।

ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরীফের মুখপাত্র মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে আমাদের নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান এবং আমাদের পূর্বের দেশসমুহে চন্দ্র দর্শন বিবেচনায়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান জেনে এবং আরব বিশ্বে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।