চবিতে ডিএনএ আবিষ্কারের ৭১তম দিবস উদযাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডিএনএ আবিষ্কারের ৭১ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়েছে।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী।

‘মেকিং সেন্স অব ইউর ডিএনএ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক এবং জাতীয় ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরীর কারিগরী উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ডিএনএ পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দিয়েছে ফরেনসিক সাইন্স যা অপরাধী শনাক্ত করে, পিতা-মাতা শনাক্ত করে, অভিবাসী বিতর্ক, কিনশিপ এনালাইসিস, উত্তরাধিকার বিতর্ক এবং ধ্বংসাবশেষ শনাক্তকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

এছাড়াও তিনি জীবের নিয়ন্ত্রণকারী অনু ডিএনএ কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে আমরা একজন থেকে আরেকজন ভিন্ন তা সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করেন। বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্ভিজ এবং প্রাণীকুলের ডিএনএ এর তথ্য বিশ্লেষণ করে কিভাবে নিজেদের প্রয়োজনে (যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকবেলায়) এ সকল প্রাকৃতিক সম্পদ এর যথাযথ ব্যাবহার করা যায় তা উঠে আসে।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী বলেন, মহাকালের যে বয়স হয়েছে তার তুলনায় ডিএনএর ৭১ বছর কিছুই নয়। আমি এই বিভাগের সফলতা কামনা করি।

উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, একটি আলো স্ফুলিঙ্গ থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে যাকে বিগব্যাং বলা হয়। এই পৃথিবীতে ৮শত কোটি মানুষ আছে যাদের সবার ডিএনএ আলাদা। এখানেই আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান এবং সভাপতি অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে কুইজ, পোস্টার প্রদর্শনী, ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা, ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।