দেয়াঙ পাহাড় কেটে দখল, স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব

দেয়াঙ পাহাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ নিয়ন্ত্রণ অফিসটি বিগত ২০ বছর ধরে অযত্নে অবহেলায় পড়লে থাকার পর এবার শুরু হয়েছে পাহাড় কেটে দখল ও ঘর নির্মাণের মহোৎসব। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে দখল করে গড়ে তুলেছেন টিনসিটের ঘরও।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গিয়েও এমন চিত্র দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী আকতার কামাল ও রাশেদ নুরসহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে প্রতিনিয়ত পাহাড় কেটে গড়ে তুলেছে টিনসিটের ঘর। পাহাড় কাটার আগে কেটেছে শত বছরের শতাধিক গাছও। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে হতে হয়েছে তাদের মারধরের শিকারও।

জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলের অফিসটি কালের বিবর্তনে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কালের সাক্ষী হয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় এখনো দাঁড়িয়ে আছে দেয়াঙ পাহাড়ে। এখান থেকে কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ প্রবেশ আর বাহিরের দৃশ্যটা এখনো পরিস্কারভাবে দেখা যায়। ভবনটির করুণ অবস্থা দেখাশুনার জন্য রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা প্রহরীও।

কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) নির্মাণ সময়কালে বন্দরের জায়গাটি দখলের বাইরে রাখা হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে শতাধিক শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা। পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের কাজে নিরাপত্তা প্রহরীসহ প্রভাবশালীরাই জড়িত রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী আকতার কামাল বলেন, আমি ৩ বছর আগে সেখান থেকে বদলী হয়ে ১৫ নম্বর ঘাটে দায়িত্বে রয়েছি। এখানে বর্তমানে ওয়াহিদুল আলম আর আলী হোসেন বন্দরের নিরাপত্তার প্রহরী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তবে তারা পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা সেটা আল্লাহ্ জানে। তবে জাহাজ নিয়ন্ত্রণ অফিসে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী আলী হোসেন মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের স্টেট অফিসার শিহাব উদ্দিন বলেন, আনোয়ারার দেয়াঙ পাহাড়ে বন্দরের জায়গা দখল করে ৬০টি ঘর নির্মাণের খবর শুনেছি। কয়েকদিনের মধ্যে বন্দরের ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় জায়গাটি উদ্ধার এবং পাহাড় কাটার জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।