পাহাড়ের তিন চাঁদাবাজ—সন্ত্রাসী চন্দনাইশে গ্রেপ্তার

চন্দনাইশ থেকে দেশিয় বন্দুকসহ পাহাড়ী তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো—রোয়াংছড়ির মৃত সত্যবান ত্রিপুরার ছেলে কিলিরাম ত্রিপুরা (৩৬), আলীকদমের শিগরাং ত্রিপুরার ছেলে যেহেল ত্রিপুরা (৩৪) এবং পশ্চিম ধোপাছড়ির নন্দমনি ত্রিপুরার ছেলে সুভাষ ত্রিপুরা (২২)।

রোববার (৯ জুলাই) সকালে বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, শনিবার (৮ জুলাই) রাতে চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ির শান্তিরহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে দুপুরে দোহাজারী পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের এক সহযোগীকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে গা ঢাকা দিতো৷ তাদের ধরতে পুলিশের নজরদারি অব্যাহত ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আনোয়ার বলেন, দিনের বেলায়দোহাজারী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের হাতিয়া খোলা ঘিলাতলী অলি ফকিরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের স্থানীয় সোর্স মো. আনোয়ারকে (২৬) আমরা গ্রেপ্তারি। আনোয়ার স্থানীয় অলি আহম্মদ প্রকাশ অলি ফকিরের ছেলে।

পাহাড়ের তিন চাঁদাবাজ—সন্ত্রাসী চন্দনাইশে গ্রেপ্তার 1
পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের সহযোগী চন্দনাইশের আনোয়ার

সস্ত্রাসীদের সোর্স আনোয়ারের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী একনালা বন্দুক, একটি কার্তুজ, ৩টি বন্দুকের বাট বিহীন নল, ৩টি ছাপাতি, ৫টি ছোট ও বড় ছুরি এবং একটি ধামা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্টদের ধারণা দেশীয় এসব অস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহার হতো।

প্রসঙ্গত, পাহাড় থেকে পাহাড়ী পথে এসে পটিয়া, চন্দনাইশ এলাকায় কৃষকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় করে এই সন্ত্রাসীরা। চাহিদা মতো টাকা না পেয়ে একাধিক কৃষককে হত্যা ও গুম করার ঘটনাও ঘটেছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।