ফটিকছড়িতে ইউপি সদস্যকে মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির অভিযোগ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে লেলাংস্থ নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যের ভাই মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমার ছোট ভাই মোহাম্মাদ সরোয়ার হোসেন লেলাং ইউনিয়ন পরিষদের পর পর তিনবার নিবার্চিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বর্তমানে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে লেলাং ইউনিয়নের আত্মসামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকায় তার ব্যাপক সুনাম ও পরিচিতি রয়েছে। তিনি জনপ্রতিনিধি ছাড়াও সমাজে নিবেদিত প্রাণ ব্যাক্তিত্ব সমাজ সেবক শিক্ষানুরাগী ও একজন সংগঠক ও এলাকায় ন্যায় বিচার সুশাসন ও জনকল্যাণ মূলক কাজে তার ব্যাপক সম্পৃক্ততা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অতীব দুঃখের বিষয় হচ্ছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সামাজিক মানমর্যদা ক্ষুন্ন করতে একটি স্বর্থন্বেশী কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও কুৎসাহ রটাচ্ছে। সম্প্রতি এ চক্রের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপারের অফিসে একটি ভিত্তিহীন কাল্পনিক বানোয়াট মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,অভিযোগকারী একজন প্রবাসী ও সিআইপি। সিআইপি সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাদাঁবাজির অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন আমার ভাই অভিযোগকারী বেলালের কাছ থেকে প্রথমে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছেন এবং বর্তমানে আরও ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। কিন্তু কেন; কি জন্য; কোথায়; কোন সময় চাঁদার টাকা পরিশোধ করেছেন এবং বর্তমানে কেন পুণরায় চাঁদা চাইতেছেন তার কোনো সু-নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে পারেননি।

এ সময় ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেনের পরিবার বেলালের এহেন অপকর্ম ও সরোবর হোসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগকারীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এবং তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।