বর্ণাঢ্য আয়োজনে চবি ৩৯তম ব্যাচের ১ম পুনর্মিলনী

‘প্রাণের উৎসবে আবেগের ঊনচল্লিশে’ প্রতিপাদ্যে দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৩৯তম ব্যাচের ১ম পুনর্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়ানো হয়। এরপর সকাল ১১টা থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে শুরু হয় আলোচনা সভা। এতে কেক কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ও চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। মধ্যহ্নভোজের পর শুরু হয় স্মৃতিচারণ, এরপর সাংস্কৃতিক পর্বের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। এসময় ৩৯তম ব্যাচের ‘১ম পুনর্মিলনী-২২’ নামে একটি ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং উপস্থিত অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

বক্তব্যের শুরুতে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অহংকার। তারা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে শুধু তাই নয়; পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম উজ্জ্বল করছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। তিনি আরও বলেন, এলামনাইরা আন্তরিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হলে বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হবে।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ও চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম।

আজাদীর সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক এম এ মালেক বলেন, আবেগ দিয়ে তাড়িত না হয়ে বিবেক দিয়ে যেকোনো বিষয় বিবেচনা করা উচিত৷ বিবেক হলো আমাদের শ্রেষ্ঠ আদালত৷ আপনারা স্কলারশিপ শুরু করতে পারেন৷ এতে অসহায় শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

অনুষ্ঠানে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া এবং সহকারী প্রক্টরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চবি ৩৯তম ব্যাচের অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বজলুর কবীর খসরুর সভাপতিত্বে এবং জুবাইদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা ও দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব রাশেদ এইচ চৌধুরীসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।