বালু নিয়ে গোলাগুলি—মেয়র খোকনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনকে (৪৫) প্রধান আসামী করে ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রত্যায় এন্টারপ্রাইজের ম্যানাজার নুরুল আলম। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোনাগাজী আমলী আদলত ফেনীতে এই মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে নুরুল আলম উল্লেখ করেন, মেয়র রেজাউল করিম খোকনের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা তাদের হাতে থাকা অগ্নাআস্ত্র দ্বারা এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষন করে ১ নম্বর আসামী ও ৪ থেকে ১১ নম্বর আসামীর সহযোগিতায় বাদীর লিজকৃত জায়গা থেকে ৫টি বোট ভর্তি করে ২৫ হাজার ঘনফুট বালু নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য তিন লক্ষ টাকা।

১৩ থেকে ১৬ নম্বর আসামি বাদীপক্ষের নোঙ্গর করা ৪টি জাহাজ থেকে ১৬টি ব্যাটারী (মূল্য এক লক্ষ বিরানব্বই হাজার টাকা) নিয়ে গেছে। এবং ২ ও ৩নং আসামী ১৮ থেকে ২২ নম্বর আসামীদের সহযোগিতায় ২০ ড্রাম ডিজেল ৬০০ লিটার (মূল্য আটাত্তর হাজার টাকাসহ) সর্বমোট পাঁচ লক্ষ সত্তর হাজার টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

আসামিরা তাদের হাতে থাকা কিরিচ এবং হকস্টিক দিয়ে কুপিয়ে ৪টি নোঙ্গর করা ভাহাজ এবং জাহাজের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে যার ক্ষতি আনুমানিক সাত লক্ষ টাকা।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এবং এলাকাবাসী মিলে আসামিদের দাওয়া করলে আসামিরা, স্বাক্ষী এবং শ্রমিকদেরকে পরবর্তীতে প্রানে হত্যার হুমকি দিয়ে অতর্কিতভাবে ছুটাছুটি করে এবং সমানে গুলিবর্ষন করে। তাদের বোট, কার্টার এবং চোরাইকৃত জিনিসপত্র নিয়া চলিয়া যায়। স্থানীয় লোকজন আহত স্বাক্ষীদের উদ্ধার করে স্থানীয় ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা করায় এবং পরবর্তীতে ফেনী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) মুহুরি সেচ প্রকল্প সংলগ্ন ফেনী নদীর কলমিচর এলাকায় মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনসহ ৪ জন বালু উত্তোলনের বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অন্যরা হলেন, আশরাফুল ইসলাম, অসত সেন ও দুখু মিয়া। তাদের মধ্যে দুখুমিয়া ছাড়া বাকি তিনজনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।