বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছনাকারী দুইজন র‌্যাবের জালে

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাঁশখালী পৌর সভার বিদায়ী মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা অভিযুক্ত সিরাজ ও মিনারকে আটক করেছে র‌্যাব।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন র‌্যাবের সিনিয়র সহাকারী পরিচালক নূরুল আবছার। অভিযুক্ত সিরাজ ও মিনারকে কক্সবাজারের রামু থেকে আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ার বাজার এলাকায় অবস্থিত উপজেলা যুবমহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনির বাসায় শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিজের বাসায় পৌঁছে দেয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘তুই এমপির সঙ্গে বেয়াদবি করছিস কেন’— এমন প্রশ্ন তুলেই লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এক পর্যায়ে তার জামাও ছিঁড়ে ফেলা হয়।

বিদায়ী মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী এই ঘটনায় মো. সিরাজ, মো. ইলিয়াছ, মিনারুল ও ইদুমিয়াকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় মামলা করেছিলেন।

গ্রেপ্তারকৃত সিরাজ বাঁশখালীর উত্তর জলদির মৃত রহিম উল্লাহর ছেলে। মিনারুল ইসলাম একই এলাকার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে। তাদেরকে বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাব কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, বাঁশখালী পৌরসভার নির্বাচনে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরে তৃতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী। সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি বাঁশখালী পৌর সভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে সেলিমুল হক দলীয় মনোনয়ন পাননি। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এবার নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট এস এম তোফাইল বিন হোছাইন।

এর আগেও স্থানীয় সাংসদের সাথে বিরোধের জেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী বেশ কয়েকবার হামলা, মামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হন।

আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক আবারও লাঞ্ছিত

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।