সংর্ঘষের জেরে চুয়েটে শহরমুখী গাড়ি আটকে দিল ছাত্রলীগ

প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের জেরে একটি গ্রুপ চট্টগ্রাম শহরমুখী শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সব বাস আটকে রেখেছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান করে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ গাড়িগুলো আটকে দেয়।

চুয়েট ছাত্রকল্যাণের পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ চুয়েট থেকে চট্টগ্রাম শহরমুখী শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের বাস আটকে রেখেছিল। বাসগুলো পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেজে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সকালে বাসগুলো আর যাবে না। সম্ভব হলে বিকেল বেলার বাসগুলো যেতে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না আসলে ক্লাস হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে ছোট ছোট কিছু পরীক্ষা আছে, তাতে সমস্যা হবে না। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, ডিন ও পরিচালকদের সঙ্গে মিটিং রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে ৫০ জনের মতো একটি গ্রুপ হেলমেট পরে লাঠিসোঁটা, রামদা নিয়ে ক্যাম্পাসে টহল দিয়েছে। গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম শহরে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন চুয়েট ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষ হতে দেরি হওয়ায় চুয়েটের রাত ৯টার বাসটি ৩০ মিনিট দেরিতে ছাড়তে বলে তারা। তবে একই বাসে থাকা অন্য একটি গ্রুপের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এর বিরোধিতা করে। মূলত এই বিষয়টি নিয়েই বাকবিতণ্ডা থেকে

তা একপর্যায়ে হামলা-মারামারিতে রূপ নেয়। একপর্যায়ে একইদিন রাতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে জড়ো হয় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা। হলে না পেয়ে উভয় পক্ষই একে অপর পক্ষের রুমের তালা ভেঙে রুমে ঢুকে তাদের বিছানা ও জিনিসপত্র বাইরে ছুড়ে ফেলে দিয়ে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। দুই গ্রুপই বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল। যা গত শনিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত চলতে থাকে। গত রোববার পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছিল।

চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, চুয়েটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।