১০ মামলার আসামি ডাকাত সাদ্দাম অস্ত্রসহ র‌্যাবের জালে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডাকাত সর্দার সাদ্দামকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সাদ্দামের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে। সাদ্দাম সীতাকুণ্ডের চৌধুরী পাড়ার জালাল আহম্মদের ছেলে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজির বিভিন্ন মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। দীর্ঘ দিন পলাতক ছিল। ২২ ডিসেম্বর তার বাসায় আসার খবরে রাত ২টায় অভিযান চালিয়ে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করি।

র‌্যাব আরও জানায়, গত ২২ জুন সন্ধ্যা ৭টায় ভুক্তভোগী কালাম নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। রাত আনুমানিক১১ ঘটিকায় অপহরণকারীরা ভিকটিম কালামের বড় ভাবীর মোবাইলে কল দিয়ে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং উক্ত টাকা না দিলে কালামকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিম কালামের বড় ভাবী ও ভাই মিলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনা করে ৮০ হাজার টাকা ভিকটিম কালামের দুই বোন মরিয়ম ও শাহানা এবং ভিকটিমের স্ত্রী জাহানারাকে দিয়ে বারবকুন্ড পাঠায়।
তারা মুক্তিপণের ৮০ হাজার টাকা নিয়ে বারবকুন্ড সেবা পেট্রোল পাম্পের সামনে পৌঁছালে অপহরণকারীরা টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং জোরপূর্বক ৩ জনকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে অপহৃত ভিকটিম মরিয়ম তার ভাবীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়, কালামের মুক্তিপণের ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে অপহরণ করে গাছের ডাল, লোহার রড দিয়ে বেধরক মারধর করে শ্লীলতাহানি করেছে। এছাড়াও অপহরণকারীরা তাদের মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করছে এবং মক্তিপণের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের হত্যা করে গুম করার হুমকি প্রদান করে।

মুক্তিপণের ৫ লক্ষ টাকা দিতে ব্যর্থ হয়ে নিরুপায় অবস্থায় অপহৃত ভিকটিমদের বড় ভাই/ভাবী থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ গহীন পাহাড়ে দীর্ঘ সময় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে উক্ত অপহরণ, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির বিষয়ে ভিকটিমদের ভাবী বাদী হয়ে ধৃত আসামি সাদ্দামকে প্রধান ও ৪ জন নামীয় এবং ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

ঠিক তার একমাস পর ২২ জুলাই নুর আবছার এরশাদ নামের এক ব্যক্তি তার কলাবাগানে কাজের উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হন। বেলা ১১ রক্তাক্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সাদ্দাম সেই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।