সরকার জারি করেছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫, যার মাধ্যমে বলা হয়েছে, জোটে মনোনীত প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নেবেন শুধুমাত্র নিজ দলের প্রতীকে। বিএনপি এবং তার জোটের কিছু দল আপত্তি জানিয়েছিল, তবে জামায়াত, এনসিপি ও অন্যান্য দল এই সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নেন। শেষ পর্যন্ত বৈঠক ও রাজনৈতিক বিতর্কের পর সরকার অধ্যাদেশ বহাল রাখে।
নতুন সংশোধনীতে প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ‘না’ ভোট পুনর্বহাল করা হয়েছে যাতে ভোটাররা যদি প্রার্থীকে না পছন্দ করে, পুনরায় নির্বাচন করা যায়। এছাড়া ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা হয়েছে এবং দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় এবার সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, ফলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। প্রবাসী ভোটার এবং নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবার পোস্টাল ব্যালেটে ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচনী ব্যয় সম্পর্কিত বিধানও সংশোধিত হয়েছে; প্রার্থী ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন এবং ৫০ হাজার টাকার বেশি দলীয় অনুদান ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দিতে হবে। সমান ভোট হলে লটারির পরিবর্তে পুনঃভোট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মিথ্যা তথ্য, গুজব বা এআই অপব্যবহার রোধে প্রার্থী ও দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী অপরাধের বিধান রাখা হয়েছে।
সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী, কোনো আসনে অনিয়ম প্রমাণিত হলে পুরো আসনের ভোট বাতিল ও ফল স্থগিত করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সংশোধিত আরপিও কার্যকর হওয়ার পর দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে।



মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।