কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার মরদেহের পরিচয় মিলেছে

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে গত মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মরদেহেটির পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। নিহতের নাম রাজেশ বড়ুয়া (৩২)। তিনি একজন দন্ত চিকিৎসক। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব শীলকূপ এলাকার কমল কান্তি বড়ুয়ার পুত্র।

নিহত রাজেশ বড়ুয়ার স্ত্রী পূজা বড়ুয়া বৃহস্পতিবার লাশ শনাক্ত করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ্। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাজেশ বড়ুয়ার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।

রাজেশ বড়ুয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাজেশ বড়ুয়া দীর্ঘদিন যাবৎ স্ত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকানন এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। পেশায় দন্তচিকিৎসক রাজেশ চকবাজার এলাকার একটি চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন।

সোমবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে তিনি ফিরেননি। বিকাল ৩টার দিকে ফোন করে বলেছেন- ‘ভালো থেকো’। এরপর ফোন কেটে দেন বলে জানান নিহতের স্ত্রী নিহতের স্ত্রী পূজা বড়ুয়া (২৬)।

সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাট এলাকা থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে নৌ-পুলিশের উদ্যোগে মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই বিষয়ে সংবাদ প্রচার হতে থাকলে নিহতের স্ত্রী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বৃহস্পতিবার তিনি লাশটি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করেন।

ওসি একরাম উল্লাহ আরও বলেন, নিহত দন্ত চিকিৎসকের পরিবারকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে চিকিৎসক রাজেশ বড়ুয়া নদীতে ডুবে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।