সাংবাদিক সেলিমের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসী সাদ্দাম কারাগারে

চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ক্যামরা জার্নালিস্ট সেলিম উল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ১ নম্বর আসামি সাদ্দাম হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করে। ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত তা নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন। তিনি বলেন, সাংবাদিক সেলিমের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এক নম্বর আসামি সাদ্দাম হোসেন আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আমরা বিরোধীতা করলে আদালত তা আমলে নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

চট্টগ্রামে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গেলে গত ২০ এপ্রিল হামলার শিকার হন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ ক্যামেরাপারসন সেলিম উল্লাহ। নগরীর মনসুরাবাদ ডিবি অফিসের পাশে ঘটনাটি ঘটে। সেখানে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও তার অনুসারিদের সাথে প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ বাধে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে।

হামলার শিকার সেলিমের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনা চলাকালে তিনি ভিডিও ধারণ করছিলেন। এসময় তার ওপর হামলা চালায় সাদ্দাম হোসেন এবং তার অনুসারীরা। এসময় মারতে মারতে তাকে নিয়ে যায় পাশের একটি খালি জায়গায়। সেখানে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালাগালির একপর্যায়ে সেলিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়দের তৎপরতার মুখে পিছু হটে সাদ্দাম বাহিনীর সদস্যরা। ফলে প্রাণে রক্ষা পান সেলিম। সন্ত্রাসীরা তার ভিডিও ধারণ করা মোবাইলটি ভেঙে ফেলে।

মনছুরাবাদ এলাকায় ফুটপাতে অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট গড়ে তোলা সাদ্দাম কিশোর গ্যাংয়ের লিডার বলে জানান স্থানীয়রা। শুধু ফুটপাত নয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিশাল জায়গা দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ফার্নিচারের গোডাউন। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতেও ভয় পান স্থানীয়রা। এসব সন্ত্রাসীর দাপটের কাছে অসহায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও। তা প্রতিবাদতো দূরের কথা উল্টো ভয়ে থাকেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকশিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।