চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর কেমিক্যালের আগুন নেভাতে ঢাকা থেকে এসেছেন হাজমত বাহিনীর ২০ ফায়ার ফাইটার। ২০ জন ফাইটারের এই টিমের সদস্যরা বিদেশে আগুন নেভানোর ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
তাদের সাথে আনা হয়েছে বিশেষ গাড়ি ‘হাজমত টেন্ডার’। যা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন।
হাজমত বাহিনী কার্বন ডাই অক্সাইড, পানি, বিশেষ ফাউডার ও ফোমের ব্যবহারে প্রশিক্ষিত। এটি ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ টিম। আগুনের ভয়াবহ মূহুর্তে তাদের কাজে লাগানো হয়।
সোমবার (৬ জুন) সকালে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনারগুলো সরানোর জন্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট আনছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। ফায়ার ফাইটারদের ৬টি টিম রেডি হয়েছে। ১০টির মতো কনটেইনারে আগুন আছে বলে তাদের ধারণা।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন, এখন গার্মেন্টস আইটেমে আগুন জ্বলছে। হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কনটেইনার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ৪টি ইউনিট পানি দিয়ে কনটেইনার ঠাণ্ডা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেমিক্যালের আগুন নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ইক্যুইপমেন্ট রয়েছে। লজিস্টিক সাপোর্ট পেলে ৫-৬ ঘণ্টায় পুরো আগুন নেভাতে সক্ষম হবো।
প্রসঙ্গত, শনিবার দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় অবস্থিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। চমেক হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, পার্কভিউ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অগ্নিদগ্ধ শতাধিক শ্রমিক, কর্মকর্তা।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।