চট্টগ্রাম বন্দরের হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়াতে নতুন বে-টার্মিনাল নির্মাণে নকশা প্রণয়নের চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। নকশা প্রণয়ন কাজে ব্যয় হবে ১২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ বে-টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ২১০ কোটি ডলার।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সাল্টিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট হোয়াং কিউ ইয়াং এবং ডি ওয়াই ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিম দায়ে জিন সাব-পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিমবায়োটিক আর্কিটেক্টস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস এর ম্যানেজিং পার্টনার আবুল বশার মো. শামসুজ্জামান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসেইন খান ও নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল আলম।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বে-টার্মিনালে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। তিনটি টার্মিনালের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৩ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার। প্রস্তাবিত টার্মিনালে মোট ১৩টি জেটি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নকশা প্রণয়ন কাজে ব্যয় হবে ১২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ বে-টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ২১০ কোটি ডলার।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সমুদ্র পরিবহন খাতে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চাহিদাকে মাথায় রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তার অংশ হিসেবে আমরা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। বেটার্মিনাল প্রকল্প তারই ধারাবাহিকতা।
তিনি আরও বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় পুরোটাই সামাল দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে গত বছর চট্টগ্রাম বন্দর রেকর্ড ৩২ লাখ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে, যা একক বছর হিসেবে সর্বোচ্চ। মাতারবাড়ীর পাশাপাশি বে-টার্মিনাল বাংলাদেশের সমুদ্র পরিবহন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।