ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিভাগের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপকেন্দ্রে।
বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল পরিমাণে চবিতে এসেছে ঢাবি ভর্তিচ্ছুরা। তারা মেতেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে। প্রাচ্যের রাণী খ্যাত এই ক্যাম্পাসে চারিদিকে সবুজের সমারোহ, কাঠগোলাপের সাদার মায়া, কৃষ্ণচূড়ার লাল আর সোনালু ফুলের সোনালী আভার প্রেমে পড়েছেন তারা।
ভর্তিচ্ছুরা কেউ এসেছেন একা আবার কেউ অভিভাবকদের সাথে কেউবা আবার এসেছেন বন্ধুদের সাথে নিয়ে দল বেধে। তারা পরীক্ষার হলে প্রবেশ করার আগে যেটুকু সময় হাতে আছে তার মধ্যে যতটুকু সাধ্য লুফে নিচ্ছেন চবির এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে। পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে তারা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছেন। ঘুরে বেড়াচ্ছেন এদিক সেদিক। ক্যামেরাবন্দী করছেন চবির এই মায়াজড়িত সৌন্দর্যকে। কেউবা আবার সেই সৌন্দর্যের সামনে দাঁড়িয়ে তার বন্ধুকে বলছেন, “এই আমাকে এ জায়গায় একটা ছবি তুলে দে তো, আমি পোজ দিচ্ছি।”
এমনই একজন পরীক্ষার্থী ইমতিয়াজ আবির। তিনি এসেছেন টেকনাফ থেকে। তার পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনে। তার সাথে চবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দেখা হয় চট্টগ্রাম খবরের। চবির বিশাল এই মাঠকে পেছনে রেখে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে দিতে বলেন, চবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা শুনেছি। ফেইসবুকে ছবি দেখেছি। ছবিতে যা দেখেছি বাস্তবে চবি তার চেয়েও বেশি সুন্দর। অদ্ভুত এক মায়াবী ক্যাম্পাস এই চবি।
অপর এক ভর্তিচ্ছু ফাগমিদা ইতু। তিনি এসেছেন চাঁদপুর থেকে। তিনি চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, চবি ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। অল্প সময়ে যে কাউকেই মায়ায় জড়িয়ে ফেলতে পারে এর সৌন্দর্য। আমার এই ক্যাম্পাসে আরো অনেকদিন থাকতে ইচ্ছে করছে।
এদিকে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রেমে মজেছেন পরীক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকরাও। কুমিল্লা থেকে মেয়ের সাথে আসা এক অভিভাবক ফাতেমা নূরহাহান বলেন, এত বড় আর এত সুন্দর ক্যাম্পাস আমি আগে দেখিনি। মেয়ের পরীক্ষার সুবাদে এসে আমার এই সৌন্দর্য উপভোগ করার সৌভাগ্য হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে এসে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যের প্রেমে না পড়া এক প্রকার অসম্ভব।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।