ঢাকার একটি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট সাপ্লাই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ী এলাকায় অবস্থিত একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে তার কোম্পানির ৫৮টি হার্টের রিং নিয়ে রিক্সা যোগে ওআর নিজাম রোড যাচ্ছিলে সিএসসিআর হসপিটালে। পথে রিকশা নষ্ট হয়েছে বলে গোলাম মোস্তফাকে রিকশা তেকে নামতে বলেন চালক। তিনি রিকশা থেকে নামলে দুই ব্যক্তি তার গায়ে এসে পড়েন এবং ঝগড়া বাধিয়ে তার মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান।
অপর দিকে হার্টের রিং ভর্তি দুটি কার্টন বহনকারী রিকশাটিও উধাও। তিনি আরেকটি রিকশা নিয়ে হাসপাতার ও কাজির দেউড়ি এলাকায় খোঁজেন সেই রিকশাওয়ালাকে। কিন্তু কোন কিছুই পাননি। পরে অভিযোগ করেন চকবাজার থানায়।
গোলাম মোস্তফার অভিযোগের ভিত্তিতে চকবাজার থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত সিসি ক্যামরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ২টি কার্টন ভর্তি রিংগুলো উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানার আটমার্চিং মোড়স্থ ফোর স্টার ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে। এসময় এই চক্রের সদস্য সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের চট্টগ্রাম খরবকে বলেন, ২৪ তারিখ ৪৫ লাখ টাকা মূলের ৫৮টি হার্টের রিং কৌশলে ছিনতাই হয়। আমরা ২৫টি পয়েন্টের সিসি ক্যামরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে রিংগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এসময় চক্রের মূলহোতা সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত প্রতারক চক্রের অপর সদস্যরা ধরা পড়বে।
সুমনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বাড়ি মাদারিপুর বলেও জানায় পুলিশ।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।