বাংলাদেশি ড্রাই ফ্রুটস্ দোকানের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে আমিরাত জুড়ে

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব-আমিরাতে ড্রাই ফ্রুটের দোকানের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে আমিরাত জুড়ে। প্রবাসীদের চাহিদা মিটিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান ভিন্নদেশীয় মানুষের মাঝে বেশ পরিচিতি লাভ করছে।

মুখরোচক খাবার চকলেট থেকে শুরু করে এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, পাস্তা বাদাম, আখরোট, হ্যাজালনাট, কিসমিসসহ নানা ধরনের পণ্য।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭টি প্রদেশ আবুধাবি, আজমান, ফুজাইরাহ্, শারজাহ্, দুবাই, রাস আল-খাইমাহ্ এবং উম্মুল-কাইওয়াইনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এসব দোকানের বিস্তৃতি।

এসব প্রদেশগুলো থেকে বাঙালি ড্রাই ফ্রুটের দোকান বেশিরভাগ শারজাহ্ রুলাতে। বর্তমানে এ ব্যবসা বাঙালিদের মাঝে আশার আলো দেখাচ্ছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেরহাম এর হিসেবে দিনে প্রায় দুইহাজার টাকা যা বাংলাদেশি টাকায় ৬০ হাজার এবং মাসে প্রায় ৬০ হাজার দেরহাম যা বাংলাদেশি টাকায় ১৮ লাখ টাকার বিকিকিনি করে থাকে এ দোকানগুলো।

শারজাহ রুলা বাজারের হাবাদ জাফারান নাটস্ এন্ড সুইটস্ এর কর্ণধার মোহাম্মদ আমান উল্লাহ্ বাবর চট্টগ্রাম খবরকে বলেন এক সময় বাংলাদেশিদের মূল্য দেওয়া হতো সাধারণ শ্রমিক হিসাবে যা বর্তমানে সেই শ্রমিকের ক্যাটাগরি ছাড়িয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন যা সত্যি আনন্দের। এ ড্রাই ফ্রুটের ব্যবসা যে বাঙালিরা দখল করে আছে তা যেন সুনামের সাথে করে যেতে পারেন সেই প্রত্যাশা রইলো।

বাঙালি ড্রাই-ফ্রুটের প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির মাধ্যমে যে শুধু মালিক পক্ষ আনন্দিত তা নয়, বরং এসব বাঙালি ড্রাই ফ্রুটের প্রতিষ্ঠানে সৃষ্টি হচ্ছে হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান। যার মাধ্যমে একদিকে নিজে সাবলম্বী হচ্ছে অন্য দিকে দেশ পাচ্ছে একটি বড় অংকের রেমিট্যান্স।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।