বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমাদের ৯০ ভাগ তেল আমদানি করতে হয়। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলে যদি তেলের দাম বাড়ে, তাহলে আমরা কম দামে খাওয়াব কিভাবে? ব্যবসায়ীরা তো সেখান থেকেই তেল কিনে এনে বিক্রি করছেন। আমরা ভ্যাট উইথড্র করতে পারি এবং সেটা করেছি। তারপরও আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম পদত্যাগ করবো কিনা?
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, বাণিজ্যমেলা কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম আকতার হোসেন, চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর।
পাশের দেশগুলোতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জিনিসপত্রের দাম নিয়ে কথা উঠেছে। তেলের দামের কথা উঠেছে। আমি হিসাব দিই- এই মুহূর্তে পাশের দেশ ভারতে তেলের দাম আমাদের চেয়েও ১৫ টাকা বেশি। আর পাকিস্তানে বেশি ৩৬ টাকা। যেসব দেশ থেকে আমদানি করা হয়, সেখানে দাম বাড়ছে। এরপরও আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। মানুষকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি, সেই চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্যপণ্য আমরা দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি আমার পদত্যাগ চেয়েছিল। আমি সব সময় বলি- আমার এই পদের প্রতি লোভ নেই। কিন্তু আমাকে গ্যারান্টি দিতে হবে যে, আমি পদত্যাগ করলে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল তেলের দাম কমিয়ে দেবে, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া পামঅয়েলের দাম কমিয়ে দেবে। আমি তাদের কাছে সেই গ্যারান্টি চেয়েছিলাম।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আমি পদত্যাগ করব কি না? প্রধানমন্ত্রী বললেন, যারা পদত্যাগ চায় তাদের জিজ্ঞেস কর, তারা এসে দাম কমাতে পারবে কি না? তাহলে তাদের মন্ত্রী বানিয়ে দেবো। পদত্যাগ করতে হবে, এসব কথা শুধু বলার জন্য বলা, কাউকে ছোট করার জন্য বলা।’
আগামী বাজেটে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাবার প্রভাব মোকাবিলার চেষ্টা থাকবে বলেও আশ্বাস দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।