আওয়ামী রাজনীতির বটবৃক্ষের ছায়ায় মিরসরাইয়ের ১৬ চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মীরসরাই আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানবৃন্দ। এসময় তারা চট্টগ্রাম আওয়ামী রাজনীতির বটবৃক্ষ খ্যাত প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের উপদেশ গ্রহণ করে সামনের দিনে জনবান্ধব ইউনিয়ন পরিষদ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রোববার (২জানুয়ারি) সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের রাজধানী ঢাকাস্থ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসভবনে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এসময় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জনবান্ধব ইউনিয়ন পরিষদ গড়ে তোলার এবং জনসাধারণের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে যাবতীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি দলকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চলারও আহ্বান জানান।

এরপর চলমান সময়ে মিরসরাইয়ের রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে থাকা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল চেয়ারম্যানদের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন।

এসময় মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভুঁইয়াসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে একাধিক চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, প্রথমত ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক, বটবৃক্ষ। মূলত তাকে দেখেই আমরা রাজনীতিতে আসি। উনি দলীয় ফোরামে যেমন সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে তেমনি জনসেবায়ও সারাদেশের আইকন। আমরা তাঁর দোয়া নিতে ঢাকা আসছি। উনার প্রতিটি কথাই আমাদের জন্য সম্পদ। আমাদেরকে জনবান্ধব ইউনিয়ন পরিষদ গড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

তারা আরও বলেন, পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুব রহমান রুহেলকে এলাকার মানুষ সাংসদ হিসেবে দেখতে চায়। রুহেলের নেতৃত্বে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ আমরা চট্টগ্রাম-১ আসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিবো।

প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর ছিল মিরসরাই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। ১৬টি ইউনিয়নের ১৩টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হওয়া বিনা ভোটে তারা জয়লাভ করেন। অপর তিনটিতেও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়ী হয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর তাদের শপথ গ্রহণ করেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।