‘আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনে সংস্কৃতি চর্চার প্রয়াসই আমাদের রক্ষা করবে’

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাউজানের ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের তকি সিকদার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনে সংস্কৃতি চর্চার প্রয়াসই আমাদের রক্ষা করবে। ক্রীড়া মনোযোগী নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা গেলে বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন রোধ সহজ হবে।
বক্তারা ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনকে যুগোপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চায় সমান গুরুত্ব দিতে হবে। খেলাধুলা, সঙ্গীত চর্চা, সাংস্কৃতিক, রচনা, হস্তলেখা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমাদের শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, জেলা ও রাউজান থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম সংগঠক, ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং যুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী প্রধান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, রাউজানে সমবায় আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের প্রথম ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ ও কনসালটেন্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হাসিনা আক্তার লিপি।
প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও লানিউজটুয়েন্টিফোরডটকম-এর ডেপুটি এডিটর সাংবাদিক তপন চক্রবর্ত্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক ম. শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের গ্রন্থাগার সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক আহমেদ কুতুব, মো. তকি সিকদার সার্বজনীন জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সমাজসেবী মোহাম্মদ ইউসুফ। ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপ-কমিটির আহ্বায়ক এবং বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন পাঠাগারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিল্লোল বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অন্যদের বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্কুল কমিটির সহ-সভাপতি মো. তৈয়ব উদ্দিন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুপ্রিয়া বড়ুয়া, রাশেদা বেগম, সুমনা বড়ুয়া, পারমিতা দাশগুপ্তা, তরুণ উদ্যোক্তা নোমান তালুকী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক’শ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সমাপনী দিনে অর্ধশত শিক্ষার্থীকে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।