ইংলিশদের বাংলাওয়াশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফরে এসে বাংলাওয়াশের শিকার হলো। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মীরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ খেলতে নেমে ১৫ ইউকেটে হারে ইংলিশরা।

টসে জিতে ইংল্যান্ড বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। সাকিব আল হাসানের দল ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে। এটি এই সিরিজের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরও। জবাবে ইংলিশরা ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করেন ২০ ওভার খেলে।

এর আগে টাইগারদের লাকি ভেন্যু চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিজিরে প্রথম ম্যাচ জিতে সাকিব বাহিনী।
গত ১২ মার্চ দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে টাইগাররা সিরিজ নিশ্চিত করেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড ১১৭ রানের সংগ্রহ করলে জবাবে ৭ বল এবং ৪ ইউকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।

ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ ঢাকা হেরে বাংলাদেশ দল চট্টগ্রাম এসে জয়ের ধারায় ফিরে। সেই ধারা অব্যাহত রেখে টি-টোয়েন্টির শিরোপাও ঘরে তুললো টাইগাররা।

বাংলাদেশ দলে দেওয়া ১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ফিল সল্ট স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৪৭ রান তুলে ফেলেছে ইংলিশরা।
সপ্তম ওভারে বাংলাদেশ দলের ক্যাপ্টেন সাকিবকে টান চার ছয়ে ১৩ রান তোলেন মালান। ১০ ওভার শেষে নিরবিচ্ছিন্ন এই জুটিতে ১ উইকেটেই ৭৭ রান তোলে ইংল্যান্ড।
তাসকিনের করা ১১তম ওভারে দুই চার মারেন বাটলার আর মালান। পরের ওভারে ইনিংসে প্রথম বল হাতে নেওয়া মেহেদি হসান মিরাজকে চার-ছয় মেরে ১২ রান তোলেন বাটলার। ওভারের শেষ বলে এক রান নিয়ে ৪৩ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন মালান।
১৩তম ওভারে এসে দলীয় ১০০ রান তোলে ইংলিশরা। ১৪তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই ব্যাটার সাজঘরে ফিরান মোস্তাফিজ।
চাপে পড়ে ইংলিশরা।
৬ চার আর ২ ছয়ে ৪৭ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন মালান। মালানকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের ১০০ উইকেট পূরন করেন মুস্তাফিজ। পরের বলেই বাটলার ফেরেন রান আউট হয়ে। মিরাজের সরাসরি থ্রোতে সাজঘরের পথ ধরেন ৩১ বলে ৪০ করা বাটলার। ১০০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। উইকেটে নতুন দুই ব্যাটার মঈন আলী আর বেন ডাকেট।

১৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ড তোলে ৩ উইকেটে ১০৮ রান। ১৬ তম ওভারে হাসান মাহমুদ বোলিংয়ে এলে তাকে একটি করে চার-ছয় মেরে ১১ রান তোলে মঈন আর ডাকেট। তবে পরের ওভারেই জোড়া উইকেটে মিরপুরের গ্যালারিকে আবারও উল্লাসে মাতান তাসকিন। ওভারের দ্বিতীয় বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ১০ বলে ৯ রান করা মঈন। আর শেষ বলে ডাকেটের স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়ে টাইগারদের জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন ঢাকা এক্সপ্রেস।

১৮ ওভার শেষে ইংলিশদের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১২৮। শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য দরকার ৩১ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই স্যাম কারানকে ফেরান সাকিব। ওভার থেকে আসে মাত্র ৪ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিলো ২৭ রান। হাসান মাহমুদের প্রথম দুই বলে ২ চার মেরে ইংলিশদের নিভে যাওয়া প্রদীপে আশার আলো জ্বালেন ক্রিস ওকস। তবে আর পারেননি তারা। পরের চার বলে দুর্দান্তভাবে ইংলিশ ব্যাটারদের আটকে দিয়ে বাংলাদেশকে ১৬ রানের জয় এনে দেন হাসান মাহমুদ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।