ইটভাটা দখল ও ইট লুটের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে আটক ২

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শাহ মাজিদিয়া ব্রিকস (এসএমবি) নিয়ে গণ্ডগোল এবং মামলার এজাহারভুক্ত মোহাম্মদ নোমান (৩৫) ও মমতাজ উদ্দিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃত নোমান বাঁশখালীর পালেগ্রামের তৈয়বের ছেলে, মমতাজ সাতকানিয়ার ছনখোলার আলতাফ হোসেনের ছেলে।

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে বিষয়টি চট্টগ্রাম খবরকে নিশ্চিত করেন র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার। তিনি বলেন, সাতকানিায়া থেকে নোমান ও মমতাজ নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এসএমবি নামের একটি ইটভাটায় চাঁদাদাবির অভিযোগে মামলা রয়েছে।

র‌্যাব আরও জানায়, ভুক্তভোগী ভিকটিম আনসারুল হক এবং তার বন্ধু মোঃ কামাল উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন বন্ধু যৌথভাবে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানাধীন এসএমবি (শাহ মাজিদিয়া ব্রিকস) নামে ব্রিকফিল্ডে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। আসামী মোহাম্মদ নোমান ও এবং মমতাজউদ্দিনের নেতৃত্বে কতিপয় দুস্কৃতিকারী প্রায় সময়ই ভিকটিমদের নিকট ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করত। ভিকটিম এবং তার ব্যবসায়িক পার্টনারগণ চাঁদাবাজদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে দুস্কৃতিকারীতার তাদের মারধরসহ প্রাণে মেরে ফেলা এবং উক্ত স্থানে তাদের ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি দিত।

সর্ব শেষ গত ২৩ মে দুপুর আড়াইটায় আসামী মোহাম্মদ নোমান এবং মমতাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে কতিপয় দুস্কৃতিকারী আগ্নেয়াস্ত্র, দা, কিরিচ, লোহার রড, হকিষ্টিক ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভিকটিম আনসারুল হকের ইট ভাটার অফিসে প্রবেশ করে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং বলে এখানে ব্যবসা করতে হলে প্রতি বছর ১০ লক্ষ টাকা হারে চাঁদা দিতে হবে।
ভিকটিম চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ব্রিকফিল্ডের ম্যানেজার এবং কর্মচারীদের লোহার রড ও লাঠিসোঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে তাদের অফিস হতে বের করে দেয়। এ সময় আনসারুল হক এবং তার বড় ভাই বাধা দিলে আসামীরা তাদেরকেও মারধর করে এবং আনসারুল হকের পকেট হতে ১ লক্ষ টাকা এবং অফিসের ক্যাশ বাক্স ভেংগে ইট বিক্রির ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়।

একই দিন দুস্কৃতিকারীরা ইট ভাটাটি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে ৫০ থেকে ৬০টি ডাম্পার ট্রাক গাড়ী এনে ব্রিকফিল্ড থেকে আনুমানিক ২ লাখ ১০ হাজার ইট লুট করে বলেও অভিযোগ উঠে।

গ্রেপ্তারকৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানায় র‌্যাব।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।