উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে চবি শিক্ষক সমিতির লাগাতার আন্দোলন চলছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে চবি শিক্ষক সমিতির লাগাতার আন্দোলন চলমান রয়েছে।

এর অংশ হিসেবে রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে চবি শিক্ষকদের সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা। দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলে এ কর্মসূচি।

এতে বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ৩৫ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ও আগামী মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, ভিসি আমাদেরকে আলোচনা করার জন্য চায়ের দাওয়াত দেয়ার জন্য। কিন্তু এর আগেও বারবার আমরা আলোচনার জন্য তার কাছে গিয়েছি। কিন্তু উনি তাৎক্ষণিকভাবে সব দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও পরে উনি তার কথা রক্ষা করেন না।

তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে আমাদের পূর্বোঘোষিত আন্দোলন স্থলে কর্মসূচী চলাকালীন লাউডস্পিকারে গান বাজনা বাজানো হচ্ছে। এভাবে আমাদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হলে হয়ত ভিসি অফিসের সামনেই আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে।

চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. খসরুল উ কুদ্দুসী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আযম ডালিম, আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এবিএম আবু নোমান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ।

এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চলার কথা ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী। কিন্তু ভিসি তার নিজের ইচ্ছামতো নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছেন। আমরা মনে করি বর্তমান ভিসি ও প্রো-ভিসি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য যথাযোগ্য ব্যক্তি নন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।

প্রসঙ্গত, আইন বিভাগ ও বাংলা বিভাগে বিতর্কিত শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছিল। শীতকালীন ছুটি এবং ৭ জনুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত আন্দোলন কর্মসূচি গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত ছিল।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।