উৎসবের রঙে বর্ণিল ইডিইউর শিক্ষার্থীরা

বিশ্বজুড়ে নানান জাতি-সংস্কৃতির মানুষেরা বছরের বিভিন্ন সময়ে মেতে ওঠে নিজেদের উৎসবে। একেক উৎসবের বৈশিষ্ট্য, বৈচিত্র্যও একেক রকমের। বর্ণিল এসব উৎসবের রঙে নিজেদের সাজিয়ে মেতে উঠেছিলো ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) শিক্ষার্থীরা।

বিশ্বের বিভিন্ন উৎসব ও এসব জাতির সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ইডিইউর এক্সেস একাডেমি তাদের এবারের কোর্সওয়ার্ক মেরাকি-১১ আয়োজন করেছে গ্লোবাল ফেস্টিভাল থিম নিয়ে। এই কোর্সওয়ার্কে শিক্ষার্থীরা ২৬টি দলে ভাগ হয়ে অংশ নেয় এবং প্রতিটি দল ভিন্ন ভিন্ন উৎসবের প্রতিনিধিত্ব করে। আজ ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল দশটায় ইডিইউর খুলশীস্থ ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়, যা শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৪টায়।

এতে প্রদর্শিত উৎসবগুলো হলো শ্রীলংকার ইসালা পেরাহেরা, যুক্তরাষ্ট্রের মার্ডিগ্রা, হ্যালুয়িন ও অ্যালবাকার্কি বেলুন ফেস্টিভাল, ফ্রান্সের কানস ফিল্ম ফেস্টিভাল ও মেন্টন লেমন, মেক্সিকোর ডে অফ দ্য ডেড, স্কটল্যান্ডের আপ হেলিয়া, বাহামার জুঙ্কানু, ইতালির সেইন্ট লুসিয়া ও কার্নিভাল অব ভেনিস, চীনের নববর্ষ উৎসব ও হারবিন আইস ফেস্টিভাল, জাপানের হিনামাৎসুরি, জার্মানির অক্টোবর ফেস্ট, রাশিয়ার হোয়াইট নাইটস, নিউজিল্যান্ডের ওয়াইতাংগি ডে, পেরুর ইনতি রাইমি, অস্ট্রিয়ার ফ্লাস্টার স্পেকটিকাল, থাইল্যান্ডের ইপ্যাং ল্যান্টার্ন ফ্যাস্টিভাল, হংকংয়ের ড্রাগন প্যারেড, স্পেনের সেইন্ট ফার্মিন বুল ফেস্টিভাল, গ্রিসের অগাস্ট মুন ফেস্টিভাল, ব্রাজিলের রিও কার্নিভাল, ভারতের পুষ্কার ক্যামেল ফেস্টিভাল এবং মরক্কোর ফেস্টিভাল অব রোজেজ। শিক্ষার্থীরা এসব উৎসবের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানসহ হরেক রকমের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিবেশন করে।

প্রেজেন্টেশন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে শ্রীলংকার ইসালা পেরাহেরা, রানার আপ হয়েছে চীনের নববর্ষ উৎসবের দল, ফেস্টিভাল রিপ্রেজেন্টেশনের বিজয়ী হয়েছে পেরুর ইনতি রাইমি, রানার আপ হয়েছে জার্মানির অক্টোবর ফেস্ট, কালচারাল পারফর্মেন্সে বিজয়ী হয়েছে ব্রাজিলের রিও কার্নিভাল এবং রানার আপ হয়েছে মেক্সিকোর ডে অফ দ্য ডেড।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, বিশ্বকে ধারণ করে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি। তাই ইডিইউ শিক্ষার্থীদের বিশ্বসংস্কৃতির সাথে পরিচিত করে তোলার পাশাপাশি নিয়ে যাচ্ছে বিশ্বমঞ্চেও। শিক্ষার্থীদের বিদেশে নিয়ে গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন বড় ও নামী প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে পরিচালিত হয়, সে অভিজ্ঞতা প্রত্যক্ষভাবে অর্জনের সুযোগ করে দিতে ইডিইউতে শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল লিডারশিপ এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রাম।

উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, বিশ্ব নাগরিক হয়ে ওঠার দর্শনই এ আয়োজনের সারকথা। শিক্ষার্থীরা প্রকৃতই বিশ্বকে ধারণ করতে শিখছে, হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক। এর ফলে সেসব দেশে গেলে কিংবা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সেসব নাগরিকদের সঙ্গে নিজেকে আরো পরিশীলিতভাবে মেলে ধরতে পারবে।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়াসহ স্কুলসমূহের ডিন, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমির ইনস্ট্রাকটর ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।