এভারেস্টে এবার বাংলাদেশের পতাকা ওড়াবেন চট্টগ্রামের সন্তান ডা. বাবর আলী

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘হিমালয়ের ম্যাটাহর্ণ’ খ্যাত ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার ‘আমা দাব্লাম’ পর্বত ইতোমধ্যে পদদলিত করেছেন চট্টগ্রামের সন্তান ডা. বাবর আলী। এবার তাঁর যাত্রা শুরু হচ্ছে ২৯ হাজার ৩২ ফুট উচ্চতার পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ড এভারেস্ট ছোঁয়ার।

আগামী ১ এপ্রিল তিনি নেপালের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বেন। এবারের মাউন্ট এভারেস্টের পাশাপাশি ডা. বাবর ২৭ হাজার ৯৪০ ফুটু উচ্চতার বিশ্বের চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট লোৎসেও আরোহণ করবেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে ৩০ মার্চ (শনিবার) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে পর্বত আরোহীদের সংগঠন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুডিশ্বচরে এই তরুণ পেশায় একজন চিকিৎসক। নানা স্বেচ্ছাসেবী কাজে তার সুনাম রয়েছে। করোনায় তার ভূমিকাও বেশ প্রশংসার ছিল। সব কিছুকে পিছনে রেখে পাহাড় প্রেমী হিসেবেই নিজেকে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. বাবর আলী।

২০১৪ সালেই ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত নেপালে এক হিমালয় অভিযানে বাবর সামিট করেন এক পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত। সেই তার হিমালয়ে পথচলা শুরু। এরপর পর্বতারোহণের বিশুদ্ধতম ধরণ বলে পরিচিত আল্পাইন স্টাইলে ২০১৬ সালে ক্লাব থেকে সামিট হয় ভারতের মাউন্ট ইয়ানাম, যা ছিল বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার কোন ২০ হাজার ফুট উচ্চতার পর্বত সামিট এবং সেই দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

পর্বতারোহণকে ধ্যানজ্ঞান মেনে তিনি বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স করেন ভারতের নেহেরু ইন্সটিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং থেকে। ২০১৪ সাল থেকে প্রায় প্রতিবছর করেছেন এক বা একাধিক হিমালয় অভিযান। এছাড়াও নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতে বাবর নিয়মিত দৌঁড়ান, করেছেন ক্রস কান্ট্রি সাইক্লিং, করেন কায়াকিং, পায়ে হেঁটে টানা ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন সিঙ্গেল ইজার প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালে তিনি ভারতের সর্ব উত্তরের কাশ্মীর থেকে সর্ব দক্ষিণের বিন্দু কন্যাকুমারী পর্যন্ত সাইকেল চালিয়েছেন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।