কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করলো বাংলাদেশ-আমিরাত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস এবং বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুবাইয়ের পাঁচ তারকা হোটেল র‍্যাফেলসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুবাই অফিসের উপ-পরিচালক রাশিদ আবদুল্লাহ আল কাসির।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রায় ২০টি দেশের কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় ৩০০ অতিথি অংশগ্রহণ করেন।

উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর পর দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন সকল প্রবাসীকে অভিনন্দন জানান এবং আমিরাতের দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের জনগণের শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানে অব্যাহত সমর্থনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকদের ধন্যবাদ জানান।

কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সদস্যবর্গ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য উন্নয়ন পরিদর্শন করতে সবাইকে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান। এ ছাড়া দুদেশের অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও বৈচিত্র্যময় করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ইউএই’র ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর একটি বিশেষ তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাতের বিষয়বস্তু এই ভিডিও ডকুমেন্টারিতে তুলে ধরা হয়েছে।

এর পর সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে একটি কেক কাটা হয়। নৈশভোজ শেষে বিদেশি অতিথিদের জাতীয় দিবসের টোকেন হিসেবে বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের গিফট হ্যাম্পার প্রদান করা হয়।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।