ক্ষমা চাইলেন সাংবাদিক আবু আজাদের হামলাকারীরা

রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইট ভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদ হামলার শিকার হওয়ার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে অভিযুক্তরা। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) অভিযুক্ত ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) অফিসে গিয়ে আবু আজাদ ও সিইইজে নেতাদের কাছে ক্ষমা চান। এসময় এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর হবেন বলে অঙ্গিকারও করেন তারা।

আবু আজাদের ওপর হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয় আখ্যা দিয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার সিইউজে কার্যালয়ে এসে বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জিত। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। বিষয়টা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।

সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, সাংবাদিকরা কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করে না। অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে কলম চালানো সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন সাংবাদিক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হওয়া সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা পক্ষান্তরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হামলার শামিল। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকার অনুরোধ রইলো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খান, সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহরম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ব্যুরো প্রধান সামছুদ্দিন ইলিয়াস এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু আজাদ।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইট ভাটার ছবি তোলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন তালুকদার মোহনসহ ৫-৬ জন পিস্তল ঠেকিয়ে সাংবাদিক আবু আজাদকে মারধর করেন। অস্ত্রের মুখে মোহন ওই সাংবাদিককে গাড়িতে তুলে স্থানীয় মঘাছড়ি বাজারে নিয়েও কয়েক দফা মারধর ও বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন।

এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু আজাদ। ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন।

মন্তব্য নেওয়া বন্ধ।